ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষায় কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমেই কমে আসছে। প্রচলিত শিক্ষায় বিদ্যমান কর্মসংস্থান সামনের পাঁচ বছরে অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রযুক্তির অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা অপরিহার্য।
তাদেরকে অবশ্যই প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করতে হবে। নতুন প্রজন্ম প্রচলিত শিক্ষার বাইরে প্রযুক্তি বিষয়ে অতিরিক্ত যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে তাদের আগামী দিনের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দায় অবশ্যই শিক্ষক অভিভাবকসহ আমাদেরকেই বহন করতে হবে ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে টিএন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ ও একাডেমিক ভবনের কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম করা হবে। বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা প্রবর্তণ করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্লাস বই ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেখাপড়ার যুগে প্রবেশ করবে। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই।
এসময় মন্ত্রী টিএন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও টিএন্ডটি হাইস্কুলের মধ্যে বিদ্যমান দেওয়াল ভাঙার নির্দেশ দেন। এর ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মুক্ত ক্যাম্পাসের একই মাঠে খেলাধুলা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্থান সংকুলানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আর বক্তব্য রাখেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্নসচিব আবদুল হান্নান, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী আবু তালেব, কলেজ অধ্যক্ষ কাজী কামরুল হাসান এবং কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান।
এর আগে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টিএন্ডটি একাডেমি ভবনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।
