মানুষকে যৌনসুখ দেবে AI

দরকার নেই সঙ্গীর। এমনকি প্রয়োজন নেই কোনও যৌন খেলনারও। তবু অনায়াসে অর্গাজমের সুখ পাওয়া সম্ভব। কারণ সেই কাজের দায়ত্ব নিচ্ছে AI কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে এমনটাও সম্ভব! ঠিক কীভাবে

লেখা, আঁকা এমনকি গান গাওয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবেতেই সিদ্ধহস্ত। AI- বাড়বাড়ন্তে একদিকে যেমন চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে, অন্যদিকে তেমনই আবিষ্কার হতে থাকছে AI-এর আরও নতুন ধরনের প্রযুক্তি। কিন্তু তাই বলে যৌনতার ক্ষেত্রেও একইভাবে বাজিমাত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! এমনটা হয়তো অনেকেই ভাবেননি।

সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যৌনতার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় কি না, সেই নিয়েই গবেষণা শুরু করেছিলেন একদল বিজ্ঞানী।আর সেখানেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক কিছু পর্যবেক্ষণ। চরম মুহূর্তে না পৌঁছাতে পারলে যৌনতার কোনও মানে হয় না। বরং অর্গাজম সুখ না পেলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা শুরু হয়। সঙ্গমে লিপ্ত হলেই যে অর্গাজমের সুখ মিলবে তার কোনও মানে নেই।এক্ষেত্রে অনেকেই হস্তমৈথুন করে যৌনচাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। কেউ কেউ বিভিন্ন যৌন খেলনাও ব্যবহার করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অর্গাজমের জন্য সেসবের কিছুই দরকার নেই। এমনকি বিপরীত লিঙ্গের কোনও সঙ্গীরও প্রয়োজন নেই। সেই কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। হেলমেটের মতো একটা যন্ত্র, যা মাথায় পরে নিলেই কাজ শেষ। আসলে এই যন্ত্র ভাবনা চিন্তাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। আর সেভাবেই অর্গাজমের সুখ দিতে পারে এই যন্ত্র।

পরীক্ষামূলক ভাবে এই যন্ত্র কীভাবে কাজ করে তাও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই যন্ত্র মাথায় পরে স্রেফ একজায়গায় বসে থাকতে হবে। তারপর যা করার সব এই যন্ত্রই করবে। যাবতীয় চিন্তা ভাবনা, অনুভূতি সবই তৈরি হয় মস্তিষ্কে। যৌনতা নিয়ে চিন্তাও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি চরম সুখের অনুভূতিও বুঝিয়ে সেয় মস্তিষ্ক। সেই মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই কাউকে অর্গাজমের অনুভূতি দেওয়া সম্ভব। এর জন্য আলাদাভাবে কারও স্পর্শেরও প্রয়োজন নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে নিজে থেকে মাথায় যৌনতার চরম মুহূর্তের অনুভূতি তৈরি হবে।

ব্যাপারে গবেষকদের দাবি, যৌন খেলনা ব্যবহার করে অর্গাজমের অভ্যাস বহু পুরনো। এই ধরনের যন্ত্র বা খেলনা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঠিকই, কিন্তু তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে। একেবারে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই অনেকেই সম্পূর্ণভাবে অর্গাজমের সুখ পান না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করলে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রত্যেকের যৌনচাহিদা অনুযায়ী, অর্গাজমের মাপকাঠি ঠিক করতে সক্ষম AI

বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বের দুই প্রান্তে থাকা আলাদা দুজন মানুষও যৌনতায় লিপ্ত হতে পারবেন।যন্ত্রের মাধ্যমে দুজনের মস্তিষ্কে এক বিশেষ সংযোগ গড়ে দেবে AI তাহলেই যৌনমিলনে কোনও সমস্যা থাকবে না। যদিও এইনিয়ে বাস্তবিক কোনও পরীক্ষা বিজ্ঞানীরা করেননি। অদূর ভবিষ্যতে তা হবে বলেই তাঁদের দাবি।

Leave a Comment