সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হলেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার খলিলুর রহমান।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মো. আব্দুল আওয়াল মিয়ার একমাত্র ছেলে মো. খলিলুর রহমান। নবনির্বাচিত সভাপতি মো. খলিলুর রহমান সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১২–১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (২০ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হন খলিলুর রহমান।
নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কৃতি সন্তান মো. খলিলুর রহমান সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগেরে নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার।
মো. খলিলুর রহমান উপজেলার বাশাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি, ২০১১ সালে গৌরিপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স সহ মাস্টার্স পাশ করেন।বর্তমানে আইআইসিটি বিভাগের অধীনে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে অধ্যয়নরত।
মো. খলিলুর রহমান জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বড় হয়েছি।একজন আদর্শ মুজিব দৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নিয়মকানুন মেনে চলতে আমি বদ্ধপরিকর। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির রাখাল রাজা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চাই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগেরএকজন নিঃস্বার্থ কর্মী হিসেবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক মুক্ত করতে চেষ্টা করব।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবই নশাআল্লাহ। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট হব।
স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব। পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।