সবরকম আধুনিক সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করে নির্মাণ হচ্ছে মডেল ফিলিং স্টেশন। যেখানে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ওঅটোগ্যাসের পাশাপাশি থাকবে চার্জিং স্টেশন ও লুব্রিকেন্টের ব্যবস্থা। চালকদের জন্য থাকবে বিশ্রামের জায়গা। যাত্রীদের জন্যথাকবে বেবি ফিডিং রুম, শিশুদের খেলার ব্যবস্থা, রেস্টুরেন্ট ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট।
এমন সব সুবিধা নিয়েই তৈরি হয়েছে ছয়টি ফিলিং স্টেশন। কাতারের রাজধানী দোহার ফিলিং স্টেশনের মতো যেখানে আছেযানবাহনের জন্য সব রকম জ্বালানি। গাড়ি পরিষ্কারের ব্যবস্থা। চালকের বিশ্রামাগার আর যাত্রীদের জন্য রেস্টুরেন্ট, এটিএম বুথ, প্রার্থনা কক্ষসহ নানা রকম সুযোগ সুবিধা।
দোহার মতোই ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে ওসমানী নগরে দুই একরেরও বেশী জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মডেল ফিলিংস্টেশন। যেখানে আছে একসাথে অনেকগুলো যানবাহনের জন্য বিভিন্ন রকম জ্বালানি নেয়ার সুবিধা ও চার্জিং স্টেশন। প্রশস্তপার্কিং ব্যবস্থা, চালকদের বিশ্রামাগার, যাত্রীদের জন্য রেস্টুরেন্ট, এটিএম বুথ, প্রার্থনা কক্ষ, বেবি ফিডিং রুম ও পরিচ্ছন্ন টয়লেটব্যবস্থা।
সম্প্রতি এটির উদ্বোধন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, সিলেট ছাড়াও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, বগুড়া ওনারায়ণগঞ্জে এমন ছয়টি মডেল ফিলিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জে আরও দুইটির কাজ চলছে।
তিনি জানান, সারা বাংলাদেশে সমস্ত মহাসড়কের পাশে এমন মডেল ফিলিং স্টেশন তৈরির জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করাহয়েছে। কত দূরে দূরে এমন ফিলিং স্টেশন হবে, কতগুলো পেট্রোল পাম্প ভবিষ্যতে বাংলাদেশে লাগবে, সেটারও একটা ডাটাবেজকরা হয়েছে। তাতে বর্তমানে বিদ্যমান পাম্পগুলোরও জিআইএস ম্যাপিংসহ অন্তর্ভুক্তি আছে। ধীরে ধীরে এ নীতিমালা বাস্তবায়নকরা হবে। হাইওয়ের পাশে সকল পেট্রোল পাম্প একইরকম নকশায় হবে বলেও জানান তিনি।
নির্মাণাধীন দুটি মডেল ফিলিং স্টেশন এর মধ্যে রয়েছে (এশিয়ান হাইওয়ে) ঢাকা – সিলেট মহাসড়কে,হবিগঞ্জ জেলার, মাধবপুরউপজেলার হাড়িয়া মৌজার নাদী’স মডেল ফিলিং স্টেশন এন্ড লোইন পয়েন্ট। যার স্বত্বাধিকারী প্রমিজিং তরুণ উদ্যোক্তা মাহমুদনাদী মিল্টন। অন্য মডেল ফিলিং স্টেশনের তুলনায় নাদী’স মডেল ফিলিং স্টেশন এন্ড লোইন পয়েন্টের জায়গার পরিমান বৃহৎও পরিকল্পনাও বৃহৎ।
মহাসড়কের পাশে ৩ দশমিক ২০ একর জমিতে স্থাপন করা হয়েছে নাদী’স মডেল ফিলিং স্টেশন এন্ড লোইন পয়েন্ট। এখানেরেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, মাতৃদুগ্ধ সেবাদান কক্ষ, নামাজ কক্ষ, ওজুর জায়গা, নামাজের কক্ষ, এটিএম বুথ, ওয়াশরুম(পুরুষ, মহিলা ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন), স্বত্বাধিকারীর কক্ষ, ক্যাশ কাউন্টার ও লুব্রিক্যান্টস স্টোর, অফিস, মোবাইল চার্জিংপয়েন্ট, ওয়াটার বডি, মেডিকেল টুল বক্স রয়েছে। এছাড়া গাড়ি ও বাস ধৌতকরণ, কার টুলস রুম, বাস/ট্রাক টুলস রুম, টায়ারপাম্পিং ও ব্যাটারি চার্জিং, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, গোসলখানা, চালকের বিশ্রামাগার ও জেনারেটর রুম রয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ডস্টোরেজে ২০ হাজার লিটার করে অকটেন ও পেট্রোল, ডিজেল প্রায় তিন লাখ ৪০০ লিটার, অটোগ্যাস ২০ হাজার লিটার মজুদকরা যায়।
ডিসপেনসিং শেডে অকটেন ডিসপেন্সার ২টি (নজেল ৪টি), পেট্রোল ডিসপেন্সার ২টি (নজেল ৪টি), ডিজেল ডিসপেন্সার ১০টি(নজেল ২০টি) ও অটোগ্যাস ডিসপেন্সার ২টি (নজেল ৪টি) রয়েছে। পার্কিং এলাকায় কার ১৬টি, বাস ও ট্রাক ২৫টি, ফুয়েলআনলোডিং ১টি, ব্যাটারি কার চার্জিং ৪টি, কার সার্ভিস ১টি ও ট্রাক সার্ভিস ১টি রয়েছে। এছাড়া পাম্পের সুপার শপে ফাস্টফুড, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন ও যাত্রাপথের প্রয়োজনীয় পণ্যাদি রয়েছে।