আজ রবিবার। ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৫:০১

সন্দ্বীপ গুপ্তচরা ঘাটে লালবোটের স্টাফদ্বারা প্রবাসী শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত

সন্দ্বীপ গুপ্তচরা ঘাটে লালবোটের স্টাফদ্বারা প্রবাসী শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত
নিউজ টি শেয়ার করুন..

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটে দুই প্রবাসী সহ চার যাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে লাল বোটের লোকজন। সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ গামী এবং সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম গামী যাত্রী সাধারণকে উভয় কূলে নামার জন্য সার্ভিস বোট থেকে লালবোটে করে কূলে যেতে হয়। লাল বোটে অতিরিক্ত যাত্রী উঠে পড়ায় প্রবাসী সহ ২৩ জন যাত্রী লাল বোটে উঠতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে লালবোটের স্টাফরা ঐ যাত্রীদের উপর এই হামলা করছে বলে জানা গেছে৷

হামলার শিকার হওয়া ঐ চার ব্যক্তি হলেন-মানিক, সোহেল, শিবলু ও শিহাদ৷ তারা মুছাপুরের আলী মিয়া বাজার এলাকার মান্দির গো বাড়ির বাসিন্দার।
জানা গেছে সোহেল ও শিবলু দুজন প্রবাস থেকে বাংলাদেশে এসেছেন সদ্য৷ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে আসতেছেন। ঐ প্রবাসী কে রিসিভ করার জন্য তার ছোট ভাই শিহাদ, পিতা মানিক, মা, সোহেলের স্ত্রী -সন্তান ও বোন তাদের সাথে ছিল।

প্রবাসী সোহেল বলেন, সন্দ্বীপ কূলে সার্ভিস বোট থেকে লালবোটে নামার জন্য অপেক্ষামান লালবোট অতিরিক্ত যাত্রী উঠে পড়ায় আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দরা পরবর্তী বোটে যাবো বলার সাথে সাথে লালবোটের স্টাফরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে৷ গালির প্রতিবাদ করার পর স্টাফরা প্রথমে সোহেলকে ধাক্কা দিয়ে সার্ভিসবোট থেকে লাল বোটে ফেলে দেয়। পরে সেখানে তাকে বেধড়ক পেটায়।

সোহেলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার পিতা মানিক ও ছোট দুই ভাই শিবলু ও শিহাদকেও মারধর করে ঘাট ইজারাদারের লোকজন। এসময় সার্ভিস বোটে থাকা যাত্রীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ইজারাদারের লোকজন লালবোট চালিয়ে সার্ভিস বোট থেকে দূরে সরে যায়। সেখানে ঐ অবস্থায় আরেক দফা মারধর করা হয় তাদের। পরে কূলের কাছাকাছি এলে একজন কর্মচারী সোহলকে লাথি দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত রহমান সাব্বির জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই দেখি ঘাটের লোকজন মিলে লালবোটে ফেলে একজনকে মারছে। এরপর ঐ লোককে বাঁচাতে ২/৩ জন সার্ভিস বোট থেকে লাফিয়ে লাল বোটে যায়। সাথে সাথে তারা লালবোটটা সার্ভিস বোটের কাছ থেকে সড়িয়ে নেয়। কতদূর নিয়ে গিয়ে নৌকা থামিয়ে নদীর মাঝখানে তাদের আবার পেটানো হয়। পরে কূলে নিয়ে লাথি মেরে বোট থেকে ফেলে দেয়। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে ঐ মানুষটা একজন প্রবাসী। তার স্ত্রী,ছোট একটা মেয়ে আর মা বোন ঐ সময় ঐ সার্ভিস বোটে ছিল।

এই বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আলম বলেন, দুপুরের দিকে ঘাটের শ্রমিকদের দ্বারা প্রবাসীর হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে চারজন এসেছিল থানায়। তারা অভিযোগ না করে চলে যেতে চাইলো। বললো তারা এটা আলোচনা করে সমাধান করবে। কিন্তু আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি একটা লিখিত অভিযোগ করার জন্য। তারা ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। আমরা ঘটনাটা দেখছি।

জানা যায় যে, প্রবাসী সোহেল মারাত্মক ভাবে আহত করার পর আজ তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়া হচ্ছে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর