জামায়াত নেতা ও আ.লীগ নেতা মিলে মসজিদ বন্ধ করে দিল

জামায়াত নেতা ও আ.লীগ নেতা মিলে মসজিদ বন্ধ করে দিল

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিঠুয়া নওপাড়া গ্রামে বড়বাড়ী জান্নাতুল ফেরদৌস জামে মসজিদে নামাজ পড়তে বাঁধা দেয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাহিত খান।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে এলাকাবাসীর উপর হামলা চালায়।

সোমবার ৩০ অক্টোবর মসজিদের সামনে এলাকাবাসী জড়ো হলে ঘটনাটি ঘটে,এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীর দুগ্রুপের মধ্য বিবাদ চলছিল। মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকাবাসী কে কোণঠাসা করে রেখেছে এই নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মসজিদ টি প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এলাকাবাসী সব ধরনের কার্যক্রম করে আসছে।আওয়ামী লীগ নেতা রাহিত খান, অন্য মসজিদে নামাজ পড়ত এবং তিনি সেখানকার মৌজায় সব ধরণের সামাজিক কার্যক্রম করে আসছিল হঠাৎ নতুন মসজিদে দখলে নিতে মড়িয়া রাহিত খান।

মসজিদের কমিটির কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বাৎষরিক ওয়াজ মাহফিল,এবং নতুন কমিটি ঘোষণা করে এতেই বিবাদ বাঁধে এলাকাবাসীর সাথে।

আওয়ামী লীগ নেতা রাহিত খানের সহযোগী মোনায়েম খান যিনি মুক্তিযুদ্ধা বলে দাবি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,তিনি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা,সেই সাথে ঢাকায় তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি করা মোনায়েমের লাখ লাখ টাকার সম্পত্তির সন্ধান মেলে।বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।তিনি ঢাকায় জামায়াত ইসলাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি বিয়ে করেছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সেখানে তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলার কুশীলবকারী হিসেবে অভিযুক্ত রয়েছে।

জামায়াত নেতার ভাতিজা আলামিন খান পলাশ, ঢাকায় শ্রমিক দলের রাজনীতির সম্পৃক্ত । ২৮ তারিখ বিএনপির মহাসমাবেশে গাড়ি পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে ।

আওয়ামী লীগ নেতা হয়েও জামায়াত নেতার সাথে সখ্যতা নিয়ে এলাকায় তীব্র সমালোচনা এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।জামায়াত ইসলামের নেতার পৃষ্ঠপোষকতা সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

এলাকাবাসী জানান, আমরা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছি এবং মসজিদের মাঠিকাটা থেকে শুরু করে সব কিছু করে আসছি।কিন্তু হঠাৎ তিনি এসে উদয় হল এবং আমাদের কে না জানিয়ে কমিটি করে এবং সভার তারিখ ঠিক করে।
আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে বাঁধা দেয় রাহিত ও তার সহযোগীরা। আমাদের কে আওয়ামী লীগ নেতা বলে হামলা হুমকি দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তিনি নেতা হবার পর থেকেই যত অনুদান আসে সব নিজের দখলে রাখে।জনগণের অনুদান তার পকেটে চলে যায়। দরিদ্রদের জন্য সৌরবিদ্যুৎ তিনি নিজের ঘরে বসিয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ রাহিত খান কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

Leave a Comment