আজ শুক্রবার। ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ৩:০০

৩৬ ঘণ্টা পরেও পাওয়া গেল না নদীতে তলিয়ে যাওয়া মুন্নাকে

৩৬ ঘণ্টা পরেও পাওয়া গেল না নদীতে তলিয়ে যাওয়া মুন্নাকে
নিউজ টি শেয়ার করুন..

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বাড়িতে মায়ের আত্মনাদ! নদীর পাড়ে বসে ক্ষণেক্ষণে বাবার আহাজারি। শোকের আকাশ ক্রমেই ভারি হচ্ছে! সজনের অপলক দৃষ্টি নদীর জলের তীব্র স্রোতের দিকে যেখানে সহপাঠীদের চোখের সামনেই হারিয়ে গেছে বাবা-মা‘র একমাত্র সন্তান মুন্না। আত্মীয়-স্বজন সবাই নদীর পাড়ে হন্য হয়ে খুঁজছেন তাকে।

এই বুঝি মুন্নাকে পাওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে! ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও মুন্নআকে পাওয়া গেছে এমন সংবাদ এখনও কেউ দিতে পারেনি তার বাবা-মাকে। শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তের পিলার ২৮৮/৮এস ২০ গজ পশ্চিমে ভারতের অভ্যান্তরে শাখা যমুনা নদীতে সহপাঠী ও স্থানীয় বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে তীব্র স্রেতে তলিয়ে যায় মুন্না। নিখোঁজ মারুফ আহমেদ মুন্না (১৮) উপজেলার নন্দীপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। সে রংপুর আইডিয়াল
ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র।


নিখোঁজ মুন্নার চাচা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, গতকাল বেলা সাড়ে এগারোটায় ডুবিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও তার লাশের সন্ধান পাইনি।তবে আমার মনে হয় নদীতে তীব্র স্রোতে থাকার কারনে ভারতে দিকে ভাসিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা
হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পরিবারের লোকজন নিয়ে নদীর কিনারা থেকে মাঝ পর্যন্ত সম্ভাব্য সব জায়গাতেই খোঁজার কাজ অব্যাহত রয়েছে। কথা হলো মুন্নার সাথে গোসল করতে গিয়ে বেঁচে ফিরে আসা সহপাঠী ইভান এর সাথে। ইভান জানায়, সকাল সাড়ে এগারোটায় ১১ জন বন্ধু মিলে নদীতে গোসল করতে নামি। পরে, আমরা সবাই সাঁতার কেটে নদীর পূর্বপাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে যেতে নদীর মাঝখানে গিয়ে মুন্না সাঁতারের শক্তি হারিয়ে ফেলে। সে তখন চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমিও নদীতে ডুবে গেলে আমার নাকে-মুখে পানি ঢুকলে আমিও শক্তি হারিয়ে ফেলি। পরে, মুন্না নদীর তীব্র স্রোতের
মধ্যে তলিয়ে যায়। বন্ধুরা সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে খবর দেই্#৩৯;।


পরিবারের লোকজন বিজিবি ও রংপুর ফায়ার সার্ভিস এÐ সিকির্উ#৩৯;র ডুবুরী দলকে সংবাদ দিলে তারা বিকেল ৩টা থেকে সন্ধা সোয়া ৬টা পর্যন্ত ওই নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও মুন্নাকে উদ্ধার করতে পারেনি। মংলা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. বেলাল হোসেন জানান, জয়পুরহাট-২০ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক মহোদয়ের পরামর্শে ভারতের বিএসএফ এর সাথে কথা বলে মৌখিক অনুমতি নিয়ে ডুবুরীদের
দ্বারা ২ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ মুন্নাকে পাওয়া যায়নি।
হাকিমপুর থানার (ওসি) মো.আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে শনিবার বিকেলে জানান, নদীতে ডুবিয়ে যাওয়া যুবকের লাশের এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর