আজ শনিবার। ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ১১:৫৩

বন্যায় কুড়িগ্রামে ২১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ

বন্যায় কুড়িগ্রামে ২১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আসাদুজ্জামান সরকার, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ২১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একদিকে যেমন পানিতে নিমজ্জিত অপরদিকে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে তুলনামূলক উচুস্থানে নির্মিত কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার্ত মানুষজন গবাদিপশুসহ আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজসহ ২শ ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান রোববার (২১ জুলাই) পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। বন্যার কবলে পড়ে পাঠদান বন্ধ বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে, উপজেলা হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১৮টি, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের গেন্দার আলগা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১৪টি, দূর্গাপুর ইউনিয়নের অর্জুন ডারা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১৭টি, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বকসীগঞ্জ সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১৪টি, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের খুদিরকুটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ৭টি, তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সাদুল্যা ২নং সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১৮টি, বজরা ইউনিয়নের খামার বিরহিম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ২৩টি, থেতরাই ইউনিয়নের খারিজালাট সালা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১০টি, গুনাইগাছ ইউনিয়নের দক্ষিন সন্তোষ অভিরাম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ১০টি, দলদলিয়া ইউনিয়নের কপূর্রা করিমিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়সহ ৯টি, ধামশ্রেনী ইউনিয়নের ১১টি, ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের ৮টি ও পৌরসভার ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১শ ৬৩টি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।অপরদিকে ২৫টি মাধ্যমিক, ৪টি কলেজ ও ২৪টি মাদরাসাসহ ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

এ গুলোর মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাঠদান বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১১টি, বজরা ইউনিয়নের বজরা এল কে আমিন ডিগ্রী কলেজসহ ৯টি, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের গেন্দার আলদা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩টি, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মন্ডলেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৭টি, তবকপুর ইউনিয়নের মাটিয়াল মোজাদ্দেদীয়া দ্বিনী দাখিল মাদরাসাসহ ৯টি, ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি, থেতরাই ইউনিয়নে ৩টি, দলদলিয়া ইউনিয়নে ২টি, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ১টি, দূর্গাপুর ইউনিয়নে ২টি ও ধামশ্রেনী ইউনিয়নে ১টি।উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক শাহ জানান, উপজেলার ২শ ৬৮টি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬৩টি বিদ্যালয়ে পাঠ দান বন্ধ রয়েছে।

কিছু কিছু বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে বিদ্যালয়ের ঘরে মানুষ ও মাঠে গবাদীপশু আশ্রিত রয়েছে। তিনি আরও জানান, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছে। তার মধ্যে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেরাগরি আলগা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের জায়গাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বিদ্যালয়টি অবকাঠামো ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব বলেন, বন্যার কবলে পড়ে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ রয়েছে।

কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চর কলাকাটা জিএম দাখিল মাদরাসা শ্রেনী কক্ষের ওয়াল ধ্বসে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে উপর মহলে সহায়তার জন্য আমরা লিখবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, বন্যার বিপর্যয় কেটে গেলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর তালিকা তৈরি করে সেগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর