তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ করায় অন্তসত্বা হয়ে ২৯ জুন শনিবার ওই কিশোরী এক ছেলে সন্তান গর্ভপাতের ঘটনায়। এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার সময় তাহিরপুর থানা পুলিশ ইকবাল হোসেন(২০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম ইকবাল হোসেন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন ও একই গ্রামের স্কুল পড়োয়া এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর যাবত ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে চতুর লম্পট প্রেমিক ইকবাল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী প্রেমিক লম্পট ইকবালের চালাকি বোঝতে না পেরে বিয়ের আশায় প্রেমিক ইকবালের সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে কিশোরিটি গর্ভবতি হয়ে পরলে বিষয়টি ইকবাল হোসেনকে বার বার জানালেও সে তার ঘরে বউ করে তুলে নিবে বলে তার সঙ্গে কালক্ষেপন করতে থাকে।
এরই মধ্যে গতকাল ২৯ জুন রোজ শনিবার বিকালে কিশোরী তার নিজ বাড়ীতে এক ছেলে সন্তান প্রসব করে। কুমারীর ঘরে সন্তান দেয়ায় ঘটনা এলাকায় জানাজানি হিলে আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইতে থাকে। পরে শনিবার রাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লম্পট প্রেমিক ইকবালের পিতা আতাউর রহমান গ্রামের কিছু ব্যাক্তিকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী হওয়ায় সালিশ বৈঠকে স্ত্রী ও স্তানকে স্বকৃতি না দিয়ে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে ধর্ষক ও তার পিতা এবং গ্রামের কিছু প্রভাবশালী বিচারক চক্র ।
পরে কিশোরীর পিতা থানায় বিষয়টি জানালে ওসি (তদন্ত) মো, আসাদুজ্জামান ও বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির এ এস আই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ধর্ষক ইকবাল কে রাতেই গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার ওসি মো, আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ধর্ষনকারীর বিরোদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতারে অভিযোগ এনে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এবং ধর্ষক ইকবালকে আজ রবিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
