১৮ বছর মাটির গর্তে শেকলবন্দী রবিউল!
ফরিদপুরে বোয়ালমার্রী বাড়ি রবিউলের। বাড়িতে একটি টিনের ঘরে মাজায় শেকল লাগানো রবিউলের। প্রায় ৬ ফুট গভীর গোলাকার মাটির গর্তে হাত দিয়ে মাটি খুঁড়ছে।
গত প্রায় ১৮ বছরের শেকলবন্দী জীবনে ঘরটির মাটির মেঝে হাত দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে রবিউল নিজেই তৈরি করেছেন। নিজের থাকার মাটির ঘরে রবিউলের হাতের নখ ও আঙ্গুল ব্যবহার করে তৈরি গর্তটি একটি গোলাকার বাংকারেই রূপ নিয়েছে।
রবিউলের বয়স তখন প্রায় ৮ বছর। সে সময় তার জ্বর হয়েছিল। অসুস্থতার পর আস্তে আস্তে তার হাত-পা শুকিয়ে যেতে থাকে। পরিবারের সাধ্যমতো কবিরাজ ও ডাক্তার সব দেখানো হলেও আর সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেননি তিনি। শীত-গরম কোনো অনুভূতিই টেরা পান না। শরীরে তাই কখনোই কাপড় রাখেন না রবিউল।
রবিউলের বাবা মো. নুরুল মোল্লা বলেন, জমি সব বিক্রি করেছি। মধুখালিতে পাবনা মানসিক হাসপাতালের এক ডাক্তারকে দেখিয়ে সাধ্যমতো চিকিৎসার চেষ্টা করেও সুস্থ করতে পারিনি ছেলেটাকে।
তিনি আরও জানান, শেকল খুলে দিলে রবিউল পুরো বাড়ি ভাঙচুর ও তছনছ করে। এদিক ওদিক হারিয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে মনে না মানলেও প্রায় ১৮ বছর ধরে ওকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখছি।