মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে সারাদেশ। সংকটময় এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় জনগণের পাশে থাকার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলোকেও সাহায্য করার আহবান জানিয়েছে শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সারাদেশে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।তবে তাদের অন্যতম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অন্য যে কোনো সংগঠনের চেয়ে করোনা সেবায় এগিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কেউই যখন আক্রান্ত হয়নি তখন থেকেই জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ শুরু করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে নিম্মবিত্ত পরিবারগুলোর পাশে দ্বাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ। গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নাছির মোড়লের নেতৃত্বে ধারবাাহিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। করোনায় প্রথম ভাগে নিজস্ব তৈরিরি স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করে নাছির মোড়ল। পরবর্তীতে এ ধারা অব্যাহত রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে। দফায় দফায় অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দ্বাড়িয়েছে এ ছাত্রলীগ নেতা। এ পর্যন্ত প্রায় তিন দফায় খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেতা।
জানা যায়,নাছির মোড়ল এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে নাছির মোড়ল জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ক্রান্তিকালে সব সময় পাশে থেকেছে ইতিহাস তাই বলে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচে অসহায় অবস্তায় রয়েছে নিম্মবিত্তরা পরিবারগুলো। তাই আমার সাধ্যমত পাশে দ্বাড়িয়েছি। নাছির মোড়ল বলেন, আমরা কৃষকদের ধান কেটে ঘরে পৌছে দেবার কাজও করব। সেই সাথে আমার ব্যক্তিগত কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।
এ কাজে আমাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ গুলো মেনেই কাজ করেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় নাছির মোড়ল কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এ কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। করোনাভাইরাসের কারণে বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকটে থাকা এলাকাগুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।