আজ রবিবার। ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ২:২৫

উপ-নির্বাচন ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রে নেই ভোটারের দেখা

উপ-নির্বাচন ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রে নেই ভোটারের দেখা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আসিফ জামান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে বৈরি আবহাওয়ায় উপস্থিতি কম জানিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে তা বাড়ার আশা করছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ইভিএমের মাধ্যমে এই আসনের ১২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ১০টায় পীরগঞ্জ শহরের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রে নেই ভোটারের লাইন। জনশূন্য এ কেন্দ্রে অলস বসে রয়েছেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসারসহ সংশ্লিষ্টরা।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, “বৈরি আবহাওয়ার জন্য ভোটাররা হয়তো বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না; তাই কেন্দ্রে উপস্থিতি কম। আশা করছি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে।”
একই অবস্থা দেখা যায় পীরগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রেও।
উপ-নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রে নেই ভোটারের দেখা
এ ছাড়া এ আসনের প্রায় প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি কম বলে জানা গেছে।
এদিকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আজকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা; তাই হয়তো ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়বে।”
ভোটগ্রহণ শেষ হলে অল্প সময়ের মধ্যে ফল জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, অনেকগুলো ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখলাম; শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। তারপরও যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পীরগঞ্জ শহরের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও দেখা ছিলনা ভোটার উপস্থিতি
পীরগঞ্জ শহরের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও দেখা ছিলনা ভোটার উপস্থিতি।
পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। একাদশ সংসদে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান পদত্যাগ করায় এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এবারের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় জন প্রার্থী।
এরমধ্যে ১৪ দলীয় জোট থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ (লাঙ্গল), জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ আসনে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, “ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, এ জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।”
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এ আসনে ১২৮টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৪ হাজার ৪৩৯। প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দুজন মহিলা পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর