আজ শুক্রবার। ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় দুপুর ১২:০৫

গোলাম রাব্বানীকে এক হাত দিলেন জবি ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক রাসেল

গোলাম রাব্বানীকে এক হাত দিলেন জবি ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক রাসেল
নিউজ টি শেয়ার করুন..

“ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন চৌধুরির অনতিবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি চাই।।”

ছাত্রলীগের কোন নেতাকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে তাকে মুক্ত করতে ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ার প্রয়োজন নাই পার্টির সাধারণ সম্পাদকের।
“ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের স্ট্যটাস ও কিছু প্রশ্ন”

গতকাল রাতে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন সহসা ফোন করে অঝোরে কান্না করছিলো। কি হইছে জিজ্ঞেস করতেই ধরা গলায় জানালো, মিথ্যা সাজানো অভিযোগে তাকে সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি সদরের ওসিকে ফোন করে কারণ জিজ্ঞেস করলাম, ওসি বললো… ভাই বোঝেনই তো, ইন্সট্রাকশন আছে। আমার কিছু করার নেই, আপনি লিডারের সাথে কথা বলেন, পাপনকে থানায় বসিয়ে রেখেছি, সকালে ছেড়ে দেবো–

প্রশ্ন ১: ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা।আর আপনি ও সব কাজে আপার নাম ই বলে থাকেন। তাহলে লিডার টা কে??ওসিকে বললেন না কেন ছাত্রলীগ এখন দেশরত্নের।কোন লিডারের কথায় কাজ হবে না??

আজ সকালে অনেকবার ফোন করেও লিডারকে পেলাম না। ওসিও আর ফোন ধরলেন না। পাপনকে চাদাঁবাজি আর ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে-

প্রশ্নঃ২-লিডার কল না ধরলে উনার বাসায় যেতেন,উনি ঢাকায় না থাকলে এলাকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পাঠিয়ে তাদের মোবাইলে কথা বলতেন,সারা রাত না ঘুমিয়ে হলেও পাপন কে থানা থেকে বের করা ছিল আপানার প্রধান দায়িত্ব, কারন আপনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিভাবক । আপনি সেটা কেন করেন নি?আপনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক
ওসি আপনার কল ধরে নি মানে আপনাকে অবমূল্যায়ন করেছে।কয়েকদিন আগে সাভারে ধান কাটতে গিয়ে লাইভে পরিবেশ দূষনের অপরাধে একটি কারখানা বন্ধ করার নির্দেশ এবং যে ওই কারখানা অনুমতি দিয়েছে তার চাকুরি থাকবে না এটা ও বলেছিলেন।জানি না অবৈধ কারখানার অনুমতি দেওয়া ওই কর্মকতা চাকুরিচ্যুত হয়েছে কিনা নাকি লাইভে ই সীমাবদ্ধ ছিল।তাহলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপরাধে কেন ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন না??ওসি কল না ধরার পর ও কেন এসপি,ডিআইজি,আইজি কে কল দিয়ে পাপনকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন না??

অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, বললাম নাহ! একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি নিদারুণ ব্যথিত ও বিব্রত!! —
প্রশ্নঃ৩—আপনি যদি একজন ইউনিট প্রধানকে মিথ্যা মামলা থেকে বাচাতে না পারেন। ছাত্রলীগের শীর্ষনেতা হয়েও শুধুই ব্যথিত ও বিব্রত ই হন,তাহলে ৫০লক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীর নিরাপত্তা দেবে কে??

এভাবেই লোকাল গ্রুপিং রাজনীতির নির্মম বলি হয় ছাত্রলীগের নিরীহ কর্মীরা। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়! আর ‘উলুখাগড়া’ হিসেবে ছাত্রলীগের চেয়ে বেটার অপশন আর কি হতে পারে!—

প্রশ্নঃ৪–দেশরত্নের এই দেশে রাজা কারা??আর ছাত্রলীগ কেই বা বেটার অপশন আপনি কিভাবে বলেন??এখন ও তো কোন জেলা সম্মেলন করেন নি,উপজেলা নিয়েই আছেন। লোকাল গ্রুপিং রাজনীতির স্বীকার একজন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে মুক্ত করতে পারলেন না তাহলে লোকাল গ্রুপিং রাজনীতি থেকে বের করে জেলা কমিটি কিভাবে দিবেন??এখনই হেরে গেলে হবে না, ১০৯টি সাংগঠনিক জেলা সম্মেলন দিতে হবে,সময় কিন্তু আর একবছর।

অনতিবিলম্বে পাপনের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আর বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করা অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।–
প্রশ্নঃ৫-এর আগেও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে প্রেস রিলিজ দিয়েছিলেন।আদো কি কোথাও শাস্তি হয়েছে কোন অপরাধীর??নাকি শুধু প্রেস রিলিজেই সীমাবদ্ধ??জানাবেন আশা করি।।ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে যেন আপনাকে পায়।

সমালোচনা মোকাবিলা করে নেতৃত্ব দেওয়া ই নেতার বৈশিষ্ট।।সমালোচনা সহ্য না করে লোকজনের বাসার ঠিকানা খোঁজা,পোলাপাইনের সামনে তাদেরকে গালি দেওয়া কখনই নেতার বৈশিষ্ট হতে পারে না।আপনি ও কিন্তু গত কমিটির সমালোচনা কারী ছিলেন তখন কিন্তু কেউ আপনার বাসার ঠিকানা খুজে নাই।।
-শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর