আজ রবিবার। ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ১০:৩৮

বুয়েটের আবরারের জন্মদিনটা মায়ের জন্য কেবলই কান্নার

নিউজ টি শেয়ার করুন..

ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ বেঁচে থাকলে আজ তার ২২ বছর পূর্ণ হতো। হয়তো সকালবেলা মা তাকে ফোন করে বলতেন, বাইরে গিয়ে ভালো কিছু খেয়ে নিও বাবা।

কিন্তু পাশবিক নির্যাতনে নিহত হওয়ার পর তার চোখে এখন কান্না ছাড়া কিছুই নেই। তার মা রোকেয়া খাতুনের কাছে আজকের দিনটি ছেলের মৃত্যু দিনের মতোই বেদনাদায়ক।

আবরারই ছিলেন তার বড় ছেলে। সন্তান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হওয়ার পর তাদের পরিবারে অনেক আশা জেগেছিল।

কিন্তু গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে তাদের সেই আশা শেষ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। সেই রাতে শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা।

মঙ্গলবার তার মা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি আমার আব্বুর জন্মদিন। ১৯৯৮ সালে যেদিন ওর জন্ম হলো, সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। বাংলা সনে মাঘ মাস।

‘এক সপ্তাহ ধরে শীতের কুয়াশায় মোড়ানো ছিল চারপাশ। আর আবরার যেদিন জন্ম নেয়, সেদিন সূর্যটা শহরে আলো ছড়িয়েছিল,’ বললেন এই স্কুলশিক্ষক।

রোকেয়া খাতুন তার বাবাকে হারিয়েছেন জন্মের সাড়ে তিন মাসের মধ্যে। তাই ছেলে আবরারকে আব্বু বলে ডাকতেই ভালোবাসতেন তিনি।

তবে আবরার ফাহাদ নামটা দেয়া তার স্বামী বরকত উল্লাহর। জন্মের পর মাত্র একবার তার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। যে বছর তাকে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। পুরনো সেই ছবির অ্যালবাম এখনও যত্ন করে রেখেছেন তার মা।

তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, ভাইয়ের জন্মদিনে হয়তো কোনো অনুষ্ঠান হতো না। কিন্তু সেটি পরিবারের জন্য একটা আনন্দের দিন ছিল। এখন দিনটি কেবলই কষ্টের।

নিহত হওয়ার আগের চার বছর ঢাকাতেই কাটিয়েছেন আবরার। পড়াশোনার কারণে জন্মদিনগুলোও তাকে এই শহরেই কাটাতে হয়েছে।

তখন সকালে ঘুম থেকে উঠেই রোকেয়া খাতুন ছেলেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতেন। ভালোমন্দ খেতে বলতেন। আর এবারে ছেলের জন্মদিনে কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না, কেবল কষ্টই বাড়ছে। কান্না চাপছে।

তিনি বলেন, আবরারের জন্ম ও মৃত্যুর দিন তার জন্য এখন কেবলই কান্নার। এ ছাড়া কিছু করার নেই।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর