জবি প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাক্ষী হতে যাচ্ছে তার প্রথম সমাবর্তনের। ১১০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভবনের আদলে সাজানো হয়েছে সমাবর্তনের মঞ্চ। শেষ হয়েছে সমাবর্তনের সকল প্রস্তুতি।সমাবর্তনের রেশ পড়েছে গোটা পুরান ঢাকাজুড়ে।
জানা যায়, ১৯০৯ সালে ঢাকার কমিশনার স্যার রবার্ট নাথানের প্রচেষ্টায় অনুদান পাওয়া ৮০ হাজার টাকায় তৈরি হয় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের একাডেমিক ভবন। ভবনের একটি নামফলক থেকে জানা যায়, রাজা মন্থথ ১৯১০ সালে ভবনটি উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ১১০ বছরের এই ঐতিহ্যবাহী ভবনে চলছে জবির প্রশাসনিক কার্যক্রম।
আগামীকাল (১১ জানুয়ারি) গেন্ডারিয়ার ধূপখোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তনে অংশ নিবেন প্রায় ১৯ হাজার গ্রাজুয়েট। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এতে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি। এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক।
এদিকে সমাবর্তন ঘিরে ক্যম্পাস ও সমাবর্তন ভেন্যু এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে সমাবর্তন স্থল ধুপখোলা মাঠ সহ আশপাশের এলাকা গুলোতে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনীর সাথে আমাদের কথা হয়েছে।
সার্বিক আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রথমবারের মত এতবড় আয়োজন করাটা চ্যালেন্জের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগীতায় ইতোমধ্যে সমাবর্তনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।