করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটি আরো বাড়ানো হয়েছে। ২৫ এপ্রিল ছুটি শেষ হওয়াও কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। সেই সাথে দেশব্যাপী গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। এরপর আবারো তৃতীয় দফা ছুটি বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় চতুর্থ ধাপে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এবার পঞ্চম ধাপে বাড়ানো হল ছুটি।
তবে এ ছুটির আওতায় থাকছে না উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কারখানা। তাই ২৬ এপ্রিল, রবিবার থেকে খুলছে পোশাক কারখানা।
এজন্য শনিবার সকাল থেকেই কর্মস্থলে যোগ দিতে শত শত কর্মীর স্রোত দেখা যাচ্ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে।
গণপরিবহন না থাকায় অনুমোদনহীন যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চরম ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা। কাজে যোগ না দিতে না পারলে দেখা দিয়েছে চাকরির অনিশ্চয়তা।
এদিকে গ্রামেও খাদ্যসংকট দেখা দেয়ায় করোনার ঝুঁকি নিয়েই মাইলের পর মাইল হেঁটে যাচ্ছেন তারা। মহাসড়কেও পড়তে হচ্ছে নানা হয়রানিতে।
এদিকে মহাসড়কে তেমন কোনো পুলিশি তৎপরতা ছিলোনা। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলকায় এক দুটি অনুমোদনহীন যানবাহন থেকে যাত্রী নামিয়ে দিলেও প্রায় সবই চলছে দেদারছে। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতেই রাজি হয়নি পুলিশ।
এর আগেও একই ধরনের হয়রানির শিকার হয় শ্রমিকরা। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সরকারের সাধারণ ছুটি চলছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তখন বন্ধ ছিলো গণপরিবহন। তবে দেশের পোশাক কারাখানাগুলো ছিলো দোটানায়। মালিকপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ছিলো তাদের কারখানা। এরপর সরকারি ছুটি থাকলেও কারখানা কি চলবে, এমন সিদ্ধান্ত কোনো পক্ষ থেক্ষেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমন উভয় সংকটের মধ্যে পড়ে ঢাকামুখী হতে শুরু করে পোশাক শ্রমিকরা। কিন্তু রাস্তায় কোনো যানবাহনও নেই। কখনো রিক্সায়, কখনো ভ্যানে ভেঙে ভেঙে ফিরেছে শ্রমিকরা। তবে বেশির ভাগ শ্রমিককে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় আসতে দেখা যায়।
শ্রমিকরা যখন দলে দলে পায়ে হেঁটে ফিরতে শুরু করেছেন তখন ঠিক ৪ এপ্রিল রাতে বিজেএমইএ’ পক্ষ থেকে গার্মেন্টস বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। তখন আবার যে যেভাবে পেরেছে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছে।
সূত্র : আরটিভি