গুরুতরু অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বরেণ্য কবি হেলাল হাফিজ। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকেহাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে কবিকে দেখভালের কেউ নেই। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেমের বারান্দায় থাকা একজনকে ভাড়া করে কবির কাছে রাখা হয় বলে দাবি করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর নেটদুনিয়ায় জোর সমালোচনা চলছে।
আজ কবি হেলাল হাফিজ কে নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন যে সংবাদটি ছেপেছে তা শতভাগ সত্য নয় দাবি করেছেন তার ভাই নেহাল হাফিজ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা পরিবারের সদস্য হিসেবে সব সময়ই সোনাদার( কবি হেলাল হাফিজ) খোঁজ খবর রাখছি। আমি সকল মিডিয়ার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, উনার জীবন যাপন বিষয়ে আপনারা সবাই অবগত। উনি জীবন সঙ্গী হিসেবে কবিতা এবং একাকিত্ব কে বেছে নিয়েছেন পুরো জীবনটাই তিনি কবিতার জন্য খরচ করেছেন। প্রথমে কর্ণফুলী কিন্তু বর্তমানে শাহবাগের একটি ব্যাচেলর হোটেল ‘ সুপার হোমে‘ বাস করছেন।
তিনি আরো বলেন,কিছুদিন হ‘ল সি. এম. এইচ থেকে রিলিজ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বারডেমে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ বিকেল চারটায় বারডেম থেকে রিলিজ নিয়ে শাহবাগে উনার পূর্বের ঠিকানায় উঠেছেন। এর মধ্যে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেচলেছি, কবি হেলাল হাফিজ আপনাদের কবি কিন্তু আমাদের তো ভাই। হয়তো আমাদের যোগাযোগটা মিডিয়ার চোখে পড়েনি।চলচ্চিত্র নির্মাতা শবনম আপা যা বলেছেন ওটা ঠিক আছে, হয়তো ঐ সময় কেউ ছিলোনা। তাছাড়া সোনাদা( কবি হেলাল হাফিজ) অনেক সময় উনার পাশে থাকার বিষয়ে চরম আপত্তিও করেন।
তিনি জানান, আজ সন্ধ্যায় আমার সাথে কথা হয়েছে, আগামীকাল ঢাকা যেতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন, তারপরওউনার নিষেধ উপেক্ষা করে যেতে চাইলে উনি প্রচন্ড রেগে গেছেন। আজ আমার আরেক চাচাত ভাই আলমগীর হাসান সকালে গিয়ে উনার খোঁজ খবর নিয়েছে। যাক, আমি আগেই বলেছি কবি হেলাল হাফিজ আপনাদের কিন্তু আমাদের তো ভাই!
তিনি তো টাকা জমান নি, মানুষ জমিয়েছেন। আমরা কবি হেলাল হাফিজের পাশে উনার জমানো মানুষদের একটু খোঁজ খবর রাখার বিনীত অনুরোধ জানাই।
পাশাপাশি মিডিয়াকে সশ্রদ্ধ সম্মান জানাই উনার খোঁজ খবর রাখার জন্য। পরিশেষে ভাইয়ের রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে করজোড়ে দোয়া চাই।