বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি মামলায় ভোলা থেকে আটক হয়েছে। ভোলা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় বুধবার রাতে ভোলার গাজীপুর রোডের বাসা থেকে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
পরে তাকে সড়কপথে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিন ভোলা পুলিশের বক্তব্য না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধ্রুম্যজাল ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের পক্ষে তাকে আটকের কথা স্বীকার না করলেও আজ ভোলা সদর থানা ওসি এনায়েত হোসেন এর সত্যতা যাচাই করেন।
একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার কোতয়ালি থানায় একটি চাঞ্চল্যকর জালিয়াতির মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকার কয়েকজন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে প্রকল্পের কাজের তদবির করে দিবে বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তরিকুল ইসলাম মুমিন।
এ ছাড়াও সরকারের বিশেষ কোনো ব্যাক্তিরসাক্ষর জালিয়াতি করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুমিন সহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সেই চক্রে একজন মন্ত্রীরপিএস সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। পরে সে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে জন্মস্থান ভোলায় পলাতক হয়।
পরে তার অবস্থান নিশ্চিত করার কর বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়।এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়ে তা জান যায়নি, তবে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে আটকের সহায়তা চাইলে ভোলা সদর থানাপুলিশের মোবাইল টিম সহায়তা করে।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর না হলে এ করোনার মধ্যে তাকে আটকের জন্য ভোলায় ঢাকা পুলিশ আশার কথা নয় বলে জানান ওসি।