আজ শুক্রবার। ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ৩:২০

সহিংসতা বাড়লে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে

সহিংসতা বাড়লে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তার মিত্ররা ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। সেটাকেঘিরেই উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি হয়। গণমাধ্যম সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে আমরা যে ছবি ভিডিও দেখতে পেলাম তাতে মনেহচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমে অবনতির দিকে যাচ্ছে। অবস্থা যদি চলতে থাকে এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জরুরি অবস্থাজারির দিকে চলে যেতে পারে সরকার।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালা বদলের সময় সহিংসতার ঘটনা বলা যেতে পারে মোঘল ট্র্যাডিশন। বর্তমানবাংলাদেশে সেটি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। প্রতিবার সিংহাসনে বা মসনদে কে বসবে তা নিয়ে যুদ্ধ হতো। উত্তরাধিকারসূত্রে আমরা এই ঐতিহ্য লাভ করেছি। তবে এটি একবিংশ শতাব্দীতে কাম্য নয়। দেশটা সবার। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসারাজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম করেছেন, তার যে আত্মত্যাগসেটি মনে রেখে আমরা আমাদের পরস্পরেরভিন্নমত এবং সহাবস্থানে মনোযোগী হতে হবে।

এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ভূমিকা আছে। তারা সহিংসতা চান না, তারা চান একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তিমূলকনির্বাচন।

চটজলদি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বিষয়টি তেমনও নয়। এর জন্য নতুন একটা জেনারেশন লাগবে। যে জেনারেশন এগুলোদেখে অভ্যস্ত সে জেনারেশনের মাইন্ডসেট পরিবর্তন হতে সময় লাগবে। আমরা ডেমোক্রেসির ইললিবারেল স্টেটে অবস্থান করছি।লিবারেল ডেমোক্রেসিতে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগবে। হয়তো ২০৪১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন আমরা উন্নত হবোতখন আমরা উদার গণতন্ত্রের পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।

মূল বিষয়টি হলো—‘যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ।ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদল নিশ্চিত করার মেকানিজম আমাদেরআবিষ্কার করতে হবে। এটা করতে হবে সার্বজনীন স্বার্থে। সামগ্রিকভাবে সকলপক্ষকে কাজটা করতে হবে। যার যতটুকু ভূমিকাআছে তা পালন করতে হবে। এককভাবে সরকার বা বিরোধীপক্ষের দ্বারা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ব্যাপারে আন্তর্জাতিকসম্প্রদায়েরও ভূমিকা পালন করতে পারে।

সমঝোতার উদ্যোগটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিতে হবে। এর আগে আমাদের মনে আছে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তারানকোসাহেব বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। আলোচনার পথ খোলা রাখতে হবে।আমরা যেহেতু অবাধ, অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচন করতে পারছি না সেহেতু প্রয়োজনে তারানকোর উত্তরসূরি যিনি, তাদের কাউকে সাক্ষী মেনে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।

. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ: রাজনীতি বিশ্লেষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন জানিপপের চেয়ারম্যান


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর