প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। এতে চারজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবীডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কথা কাটাকাটির ঘটনা শুরু হয়।
জানা যায়, সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী হল সভাপতি–সেক্রেটারি সঙ্গে মুভ না করে আলাদা গ্রুপ করতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদা শাড়ি দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু, সভাপতি–সেক্রেটারি শাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে তাপসী বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকতকে জানালে সৈকত শাড়ি ছাড়া আসতে বলেন। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলাদাভাবে মুভ করলে সন্ধ্যায় হলে গেলে তাপসী হল সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন হল থেকে বের দিতে গেলে দুই গ্রুপে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
থেমে থেমে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক গিয়ে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপসম্পাদক ও হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রনক জাহান রাইন, প্রশিক্ষণ উপ সম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী, ছাত্রলীগ কর্মী সোলতানা ও সাধারণ শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
পরে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করার চেষ্টা করেন। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্ব এ ঘটনা ঘটে। এবং তারাওচড়াও হয়ে মারধর ও হাতাহাতি শুরু করেন বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী। তবে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাদের মন্তব্যপাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘শুনেছি শাড়ি দেওয়া–নেওয়াকে কেন্দ্র করেএ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টা আমরা তদন্ত করব। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে আমরা প্রত্যাশা করি না।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন এবং জড়িতদের নিয়ে আমরা বসে কথা বলেছি। মোটামুটি সাধারণ হয়ে গেছে। বাকিটা আমরা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। হল প্রশাসন বিষয়টি সুন্দর সমাধান করার চেষ্টা করছেন। আশাকরি সুষ্ঠু একটা সমাধান হবে।