আজ শনিবার। ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ১১:৫৩

শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে সংঘর্ষে জড়াল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ

শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে সংঘর্ষে জড়াল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ
নিউজ টি শেয়ার করুন..

শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এসময় ছাত্র সংসদেরভেতরে থাকা বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধারণসম্পাদকের অনুসারীদের মাঝে নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বাগবিতন্ডা হয়। বিষয়টি তখন মীমাংসা করা হয়। সমাবেশ শেষে সবাইক্যাম্পাসে আসে। কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর সাধারণ সম্পাদকফারুক হাওলাদার সবাইকে বিদায় দিয়ে চলে যায়।

ফারুকের অনুসারী জন সংসদে অবস্থান করছিল। তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেনের ১০১২ জন অনুসারীমিছিলের হাতাহাতির রেষে তাদের সাথে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সভাপতির অনুসারী সানভির, আব্দুর রহমানসহ বাকিরাসাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ওই জনকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে সাধারণ সম্পাদকেরঅন্যান্য অনুসারীরা ক্যাম্পাসে আসে। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়৷

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছাত্র সংসদে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরকরা হয়। ছবি ভাঙচুরের ব্যাপরে একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জনআহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক গণযোগাযোগ বিষয়ক উপ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির অনুসারী সানভিরমাহমুদ ফয়সাল বলেন, শান্তি সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ক্যাম্পাসে এসে দুই পক্ষের মাঝে আবারবাগবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে শাহেদ, আনোয়ার, সাকলাইন, মাছুম, আশিক, আশরাফ এদের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন আমাদেরউপর হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তারা সংসদে থাকা বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে।

শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী রাফি উজ সাকলাইন বলেন, আমি বিষয়টি সমাধানেরচেষ্টা করেছি। কিন্তু সাগরের অনুসারীরা উল্টো নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সাগর নিজেই বহিরাগত। তারনেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ থেকে বহিরাগতরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার বলেন, ঝামেলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। বিষয়টি একেবারেইঅনাকাঙ্ক্ষিত। সমাবেশের সময় যে ঘটনা ঘটেছে তা সেখানেই মীমাংসা করা হয়েছে। আবার ক্যাম্পাসে এসে যারাই সংঘর্ষ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিল আমরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাদের নাম কেন্দ্রে পাঠাব। ছাত্রলীগের অভিভাবক সাদ্দাম ভাইএবং ইনান ভাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন।

শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। পরবর্তীতে এসেজানতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে তারা কখনো ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারেনা। তারা পিঠ বাঁচানোর জন্য ছাত্রলীগ করছে এবং সুযোগ বুঝে সংগঠনের ভেতরে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। যে বা যারাই বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর