আজ রবিবার। ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় দুপুর ২:৪৬

বিকল্প পথ খুঁজছে জামায়াত

বিকল্প পথ খুঁজছে জামায়াত
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আইন মেনে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামী। এজন্য সাংগঠনিক বিভাগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দিচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত অনুমতি না পেলে বিকল্প উপায়ে রাজপথে নামার চিন্তা রয়েছে দলটির।

কিন্তু দলটির এমন ‘নীরবতা’ সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ নাকি ‘নিজস্ব কৌশল’-এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জনও চলছে। যদিও সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ গুঞ্জন নাকচ করে আসছে দলটি।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ গুঞ্জন নাকচ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের এক ভার্চুয়াল কর্মী সম্মেলনে বলেন, ‘জামায়াতের অভিধানে ‘আঁতাত’ শব্দ নেই। জামায়াত ১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশ করেছে, তা যদি আঁতাত হয়, তাহলে যারা নিয়মিত সমাবেশ করছে তারাও কি সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে?

তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর অর্থ এই নয়, সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে। শুধু কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২৪৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পাঁচজন নেতাকর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে। প্রায় এক লাখ নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষনেতাদের কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে আঁতাতের প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাই সমাবেশের জন্য সরকার অনুমতি দেবে এবং দেওয়া উচিত। আইন মেনে মাঠে নামার চেষ্টা করব। কিন্তু তারপরও যদি না হয় তাহলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে তো নামবই। এখন নিজস্ব জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা আন্দোলন করছি, সামনে কী হয় তা সময়ের ব্যবধানে বোঝা যাবে।

বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একদফার দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে। এতে চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও সমর্থন দিয়েছে। বিরোধী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সরকার পদত্যাগে মাঠে সরব থাকলেও জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই নানা প্রশ্ন তুলছেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের জন্য তো দুপক্ষকেই (বিএনপি ও জামায়াত) এগিয়ে আসতে হবে। দশ দফা বলেন আর পাঁচ দফা বলেন সবই একদফা। আমরা মনে করি মূলত বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা-এটাই একদফা। জামায়াত আন্দোলনে আছে, বিএনপিও আন্দোলনে আছে। অন্যান্য বিরোধী দলও আন্দোলনে আছে। এ আন্দোলনের লক্ষ্য এক। একপর্যায়ে একটা জায়গায় মিলিত হতে হবে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর