আজ শনিবার। ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সন্ধ্যা ৬:১৪

বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ: বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো যা করছে

বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ: বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো যা করছে
নিউজ টি শেয়ার করুন..

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপতৎপর হয়েছে। বিএনপি জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সন্তানেরা বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধেনানা অপপ্রচারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে কেবল তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারকরছে না, বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালীদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে একটিনেতিবাচক ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে। যার প্রভাব এবং বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির পর এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপ আরও আস্তে আস্তে দৃশ্যমানহচ্ছে। গত ১২ জুন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন এমপি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন এবং খালেদা জিয়ারমুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়কপ্রধানের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বেড়েছে।ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে এই চিঠিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরনিষেধাজ্ঞা আরোপ, জিপিএস সুবিধা বাতিলসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

ঠিক একই সময় বিতর্কিত মার্কিন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশেপ্রবেশাধিকারের আগে সেই সমস্ত কর্মকর্তারা কতটুকু মানবাধিকার প্রতিপালন করেছেন বা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন কিনাতা যাচাই বাছাই করে দেখার জন্য অনুরোধ করছেন। এরকম এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরআগে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আন্তর্জাতিক চাপ সামাল দিয়েসংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে করা হবে সেটি সরকারের সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এইআন্তর্জাতিক চাপ গুলো যখন হচ্ছে তখন বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ মিশনগুলোর দায়িত্ব পালন এবং সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নউঠেছে। 

এর আগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সেই সময়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এইসব ঘটনার পর তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়াহয়। নতুন একজনকে ওয়াশিংটনে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি যাওয়ার পরও মার্কিন কমেনি। বরং নতুন ভিসা নীতিঘোষণার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

এর আগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সেই সময়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এইসব ঘটনার পর তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়াহয়। নতুন একজনকে ওয়াশিংটনে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি যাওয়ার পরও মার্কিন কমেনি। বরং নতুন ভিসা নীতিঘোষণার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। 


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর