- সভাপতি– সাধারণ সম্পাদক চিরাচরিত প্রথার মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া,
- মোট ৩০১ টি পদ থেকে গড়ে ২৫০ টি পদ শুধুই ঢাবি থেকে দেয়া,
- ঢাবির হলের সভাপতি– সাধারণ সম্পাদক পদে রানিং দায়িত্বে থেকেও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সভাপতি/যুগ্ম সাধারণসম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদকের মত অধিক দায়িত্বশীল পোস্ট দখল করা,
- আগের কমিটির সহ–সভাপতি পরের কমিটিতেও সহ–সভাপতি হওয়া,
- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, পূর্ণ সম্পাদক এক চেটিয়াভাবে বাইরের কোন ইউনিট থেকে না দেয়া,
- ৫/৬ বছরের ছাত্র রাজনীতি করে ৩/৪/৫ টা পদ পাওয়া (যেখানে বাইরের অনেক ইউনিটে ১২ বছরেও কমিটি না করা) রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার এমন অহরহ উদাহরণ দেয়া যাবে।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি গণ আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরেই স্মরণ করে।তবে ১৯৫২ পূর্ববর্তী বাংলাদেশ আর ২০২৩ সালের বাংলাদেশের চিত্র কোনদিক থেকেই এক নয়। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরাএখন ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের শহর গুলোতেই বেশি সক্রিয়। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিলেও পদের বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে ,
দেশরত্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান শুধুই মঞ্চের গালভরা ভাষণ,ছাত্রলীগের গঠনতন্র আজ কেবলই কালিধূলো মাখা কিছুপৃষ্ঠা।
পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করে পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি আজ মিথ্যের বেসাতি, তৃণমূলকে শক্তিশালী করার দৃঢ় অঙ্গীকার আজ শুধুই যুবকের আবেগ নিয়ে খেলা করা ।
রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে যারা ছাত্রলীগ করে তারা এতোটা বঞ্চনা ডিজার্ভ করেনা। এই তিনটি বিভাগের ছেলেদেরকে বঞ্চিত না করাটা সংগঠনের স্বার্থেই দরকার।কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে থানার সমমান মর্যাদার একটা হলের নেতারচেয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা, মহানগরের সভাপতি– সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কলেজ, থানা ইউনিটের সভাপতি– সাধারণ সম্পাদক অধিক যোগ্য। এমন বাংলালিংক দরে নেতা হওয়ার বিষয়টা ঢাবি ছাত্রলীগের পরীক্ষিত অনেকবড় ভাই, বন্ধু, ছোটভাইয়েরাও সমর্থন করেনা। দুঃখজনক হলেও এটা স্বীকার করতেই হবে যে “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ” তার নামকরণের স্বার্থকতা হারিয়ে একটি শাখা কমিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
পরিশেষে তাই সংগ্রামী এবং বিপ্লবী বরাবর দাবী রাখতে চাই, ” আপনারা যুগের পর যুগ ধরে ঢাকার বাইরের ইউনিট গুলোর সাথে চলমান প্রহসন বন্ধ করুন; অথবা গঠনতন্ত্রের ধারা সংশোধন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেটে দিয়ে শাখা কমিটি ঘোষণাদিন।“
লেখক : আবু সাইদ আকন্দ
সাবেক সহ–সভাপতি ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ