আজ রবিবার। ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় দুপুর ২:২৩

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমঝোতা!

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমঝোতা!
নিউজ টি শেয়ার করুন..

নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল হয়েছে এমনটি বলছে সেখানকার গণমাধ্যম। সেখানকার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দুই দেশ তাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন মত পোষণ করেছে। দুই দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়েছে। এটি হলো প্রকাশ্য খবর। কিন্তু এই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ ছিল অন্য জায়গায়। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টানোর মিশনে নরেন্দ্র মোদি কতটুকু সফল হয়েছেন বা আদৌ এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নটিই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় জিজ্ঞাসা হিসেবে সামনে এসেছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি নরেন্দ্র মোদি এবং জো বাইডেনের বৈঠকে ভালোভাবেই আলোচিত হয়েছে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো মনে করছে, যেহেতু এই বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং তৃতীয় একটি দেশের ব্যাপার তাই এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার রক্ষার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের শান্তি এবং উপমহাদেশে শান্তিরক্ষায় দুটি দেশ এক অভিন্ন অবস্থান নিয়ে কাজ করবে এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একটি সহঅবস্থানে পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুটি দেশ ভিন্ন অবস্থানে যাবে না। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে একই অবস্থানে যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ধরনের অবস্থানে দুটি দেশ যাবে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন পদক্ষেপ গ্রহণের আগে আগামী নির্বাচন বাধাহীনভাবে করতে দেওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভারত মনে করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম কথাবার্তা বলার আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ভারত এরকম একটি বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে বলেই ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম ইঙ্গিত করেছে।

তারা বলছে, দেখতে হবে যে সরকার কিভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে। এই নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় এবং কতটা অংশগ্রহণমূলক হয়। ব্যবস্থা সবসময়ই নেয়া যাবে। ব্যবস্থা নেয়ার পথ সবসময় খোলা রয়েছে এমন একটি মনোভাব ব্যক্ত করে ভারত বলেছে, বাংলাদেশের সরকারকে একটি সুযোগ দেওয়া অবশ্যই দরকার। আমরা দেখতে চাই তারা কিভাবে নির্বাচন করে। এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, এই নির্বাচন যদি অবাধ নিরপেক্ষ হয় তাহলে এতো সব ব্যবস্থা বা এতো সতর্কবাণী অর্থহীন হয়ে পড়বে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণকে ভুল বার্তা দেবে। কাজেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় কিনা সেদিকে নজর দেয়া উচিত।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের এরকম একটি মতামতের সাথে একমত পোষণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় অংশই মনে করেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কিরকম হয়, কিভাবে নির্বাচন করা হয় সেটি দেখা হবে। নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। সে ধরনের ব্যবস্থা নির্বাচনের পরে গ্রহণ করলে তা আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণও সহযোগিতা করবে। কিন্তু নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও  হয় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এবং নতুন সরকারের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক ধরনের অস্থিরতা এবং অবিশ্বাস তৈরি হবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এই অবস্থান থেকে সরে আসেনি। ভারতও এরকম অবস্থানের সাথে সহমত বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর