আজ শুক্রবার। ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৪:২৭

বরগুনায় মূলত কী ঘটছে!

শোকের মাস ঘিরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচি
নিউজ টি শেয়ার করুন..

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগেরসভাপতি ও সম্পাদক। বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায়করা বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বরগুনা–১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে গিয়ে করাহয়েছে। যার কারণে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ। এজন্য বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে দুই গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয়ছাত্রলীগের এমন কাজের কারণেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঘোষণা করা কমিটি অবৈধ। যারা এই অবৈধ কমিটিকে সমর্থন করে তাদেরও জেলা আওয়ামী লীগপ্রত্যাখ্যান করবে।

একই সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আজ থেকে এই অবৈধ ছাত্রলীগ কমিটিকেবরগুনায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর২৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতেরেজাউল কবির রেজাকে সভাপতি ও তৌশিকুর রহমান ইমরানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।এরপর থেকেই ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

জানা যায় ,১৭ জুলাই ২০২২ বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। ঢাকায় এসে ২৮ জুলাই ২০২২ বরগুনা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় তৌশিকুর রহমান ইমরান কে। কমিটি ঘোষণা করার পর পরই বরগুনায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয় রেজা-ইমরান ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন জানান, মূলত জামেলায় হয়েছে ভাগ নিয়ে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ  সম্ভু এমপি যে তালিকা দিয়েছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তার মধ্যে রেজাউল কবির রেজার নাম ছিল। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন সবুজ মোল্লা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কে দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হবে। যে কারনে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে স্থানীয় এই এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাইফুল ইসলাম সাগরের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সে নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নামের সাথে সমন্বয় হয়নি। ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে তৌশিকুর রহমান ইমরান কে নেতা বানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বরগুনার সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান , জামেলা মূলত নব ঘটিত কমিটি নিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয় হয় নি। সমন্বয় না হওয়ায় প্রথম থেকেই সে কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হচ্ছিল। ৫ আগস্টের প্রোগ্রাম করার জন্য দেয়নি বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক কে। জেলা আওয়ামী লীগের ইন্দনের কারনেই মূলত এ সংঘর্ষ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের কে পাওয়া যায় নি।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর