আবু নোমান রুমি, ঢাকা।।
ফাজিল ৪ বছর মেয়াদী অনার্স ও কামিল শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ সহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বকশি বাজারের সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসা গুলোর ফাজিল, কামিল শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া ও ফলপ্রকাশ সহ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন।দেশের মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও দীর্ঘ সময়ে এর সুফল মিলছেনা।
তারা অভিযোগ করেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল অনার্স ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা—২০২০ এর চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে মার্চে ও ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে শেষ হয়েছে। সে হিসেবে প্রায় পাঁচ মাসেও ফল প্রকাশ করা হয়নি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো —
১) সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ফাজিল (অনার্স ও পাস), কামিল (স্নাতোকোত্তর) সহ সকল বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
২) ফল প্রকাশের পর দ্রুত সার্টিফিকেট ও মার্কশিট আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল মাদ্রাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন বর্ষের সেশনজট করতে পারবেন না। করোনার জন্য যে সেশনজট তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে সেশনের সময় কমিয়ে এনে আগেই চূড়ান্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রতিটি বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট হেল্প সেন্টারে স্থাপন করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরনের সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে তা সমাধান করতে পারে।
৫) শিক্ষার্থীদের সাথে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সন্তোষজনক ও ভালো আচরণ করতে হবে।
রুমি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে আমাদের ফল প্রকাশ করার নিশ্চয়তা দেয়া হোক। একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার পর কেন ছয় থেকে সাত মাস ধরে ফলের জন্য অপেক্ষা করবেন। দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদেরকে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে বাধ্য হবে।
এছাড়াও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য জানার জন্য ফোন করলে খারাপ আচরণের শিকার হতে হয় উল্লেখ করে মাহমুদুল হাসান মাহমুদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যে কোন প্রয়োজনে ও তথ্য জানার জন্য আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোন করলে যথাযথ সহযোগিতা পাওয়া যায় না উল্টো তারা খারাপ আচরণ করেন। আমরা বারবার যদি এ ধরনের খারাপ আচরণ পাই তবে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করবো। প্রয়োজনে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেব।