আজ শুক্রবার। ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৩:১১

কূটনীতিক পাড়ায় যে পাঁচ সমঝোতা প্রস্তাব

কূটনীতিক পাড়ায় যে পাঁচ সমঝোতা প্রস্তাব
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক করতে, বিশেষ করে বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটি নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক পাড়ায় ব্যাপক তোড়জোড় চলছে। কূটনৈতিক মহল দফায় দফায় বৈঠক করছে। অবাধ সুষ্ঠুনিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তারা বিভিন্ন মহলের সাথে দেনদরবার এবং কথাবার্তা বলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। এই দাবি বাদ দিয়ে অন্য কোনো প্রস্তাব যদি দেওয়া হয় যেটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকর সেটি বিবেচনা করা হবে। এই প্রেক্ষিতেই কূটনৈতিক মহল এখন তত্বাবধায়ক সরকারের বাইরে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে একটি পাঁচ দফা প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজ এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নানা রকম কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব এখন কূটনীতিক পাড়ায় ঝড় তুলেছে সেই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে:

. নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা নিশ্চিত করা। সচিবসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে নিয়ে আসা।

. নির্বাচনকালীন সময়ে সেনা মোতায়েন এবং সেনা মোতায়েন তদারকির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে প্রদান করা।

. প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা যারা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন তারা কোন রকম নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন না এমন অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।

. নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরকে আমন্ত্রণ জানানো এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদানকরা। 

. নির্বাচনের আগে সরকার এবং বিরোধী দলের সমন্বয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ এবং সেই সংলাপের মাধ্যমে একটি নির্বাচনী সমঝোতা স্থাপন করা। 

সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে যে, এই বিষয়গুলোতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলাহচ্ছে যে, একটি সংসদ বহাল রেখে মন্ত্রীদের স্বপদে দায়িত্বে রেখে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য তারা সংসদভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য সে সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে, তারা যা কিছু করবে সংবিধানের আওতায় করবে।সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই।

তবে কূটনৈতিক মহল মনে করেন যে, নির্বাচন কমিশনকে আরও ক্ষমতাবান করে এবং এই ক্ষমতা বাধাহীনভাবে প্রয়োগ করা নিশ্চিত করলেই অবাধসুষ্ঠুনিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হতে পারে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর