আজ বৃহস্পতিবার। ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় দুপুর ১২:২৪

কাদের কারণে ভোট বন্ধ, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি: সিইসি

কাদের কারণে ভোট বন্ধ, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি: সিইসি
নিউজ টি শেয়ার করুন..

অনিয়ম, কারচুপি জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গাইবান্ধা (ফুলছড়িসাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছেনির্বাচন কমিশন (ইসি)

ভোট বন্ধের ঘোষণার সময় ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজেতিনি এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিজ চোখে আইন লঙ্ঘন হতে দেখেছেন।

তবে আইন লঙ্ঘন করে অনিয়ম জালিয়াতি কারা করেছেন, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘কাদের কারণে আজকের ভোট (গাইবান্ধা আসনে) বন্ধ করতে হয়েছে, তা নিয়ে এখনো আমরাসিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথাবলেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমেরবিষয় নয়, এটি হিউম্যান এলিমেন্ট। এখানে আমরা যান্ত্রিক বা মেকানিক্যাল কোনো সমস্যা দেখিনি। ভোটে ইভিএম কোনোসমস্যা সৃষ্টি করেনি। ভোটকেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।

একটি আসনে উপনির্বাচন করতে গিয়ে এমন অবস্থা, তাহলে ৩০০ আসনে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করবেনসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এমন প্রশ্ন অনেকেই তুলবেন। তবে সেটা সময় বলে দেবে। এখন একটিআসনে সঠিক হচ্ছে না বলে জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনেও সুষ্ঠু হবে না, এটি বলা ঠিক হবে না। নির্বাচন থেকে আমরাকিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে পারবো। আগামী নির্বাচন যেন সুন্দর সুষ্ঠুভাবে করতে পারি, তার একটি নির্দেশনা পাওয়াযাবে।

ভোট বন্ধের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ীসকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরজন্য আমরা নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষণ কক্ষ করেছি। ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করেছি। আমরা ভোটকেন্দ্র থেকে নির্বাচনপর্যবেক্ষণ করেছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনারাও একটা সময় আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন। আমরাপ্রথম থেকে লক্ষ করেছি, ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রে আমরা গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ দেখেছি।অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করছেন অথবা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি।যেটা নিয়ম নয়। আমরা দেখেছি, সম্ভবত পোলিং এজেন্ট তাদের গায়ের গেঞ্জিতে নির্বাচনের প্রতীক ছাপানো ছিল, যা নির্বাচনআচরণ বিধিমালার পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সহকর্মীরা সকাল ৮টা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এটি পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা কেউ কক্ষ ত্যাগকরিনি। অনিয়ম অবৈধ কাজগুলো বেশ মোটাদাগে হয়েছে। যার ফলে আমরা প্রথমে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেদিয়েছি। এরপরে ১৬ কেন্দ্র তৃতীয় দফায় ১২ কেন্দ্র বন্ধ করেছি। চতুর্থ দফায় কয়টি এবং সর্বশেষ আরও তিনটিসহ মোট ৪৩কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিয়ে সাড়ে ১২টায় পর্যবেক্ষণ কক্ষ ত্যাগ করেছি। আমরা অফিসারদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছি। এসময় লক্ষ্যকরলাম, আমাদের কতগুলো কেন্দ্রে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছিলাম না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষাপটে পরে আমরা আরও সাতটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করি। মোট৫০টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারও একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট বন্ধ করেন। বিষয়টি আমরা কমিশনের সবসদস্য বসে পর্যালোচনা বিচারবিশ্লেষণ করতে থাকি। আমরা নিশ্চিত হই, ৫০ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে গেলে বাকি যেসব কেন্দ্রথাকে, সেখানকার পরিবেশ বিচার করে সঠিক মূল্যায়ন হবে না।

আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একটি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীপ্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ইমপারশিয়ালি ফেয়ারলি ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। ৫১ কেন্দ্রেরভোটগ্রহণ বন্ধের পর আইনকানুন পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আরপিওর ৯১ অনুচ্ছেদে যে দায়িত্ব নির্বাচনকমিশনকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত। ভোটগ্রহণ বন্ধ।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর