আজ বুধবার। ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ২:০৫

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনকালীন সরকার

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনকালীন সরকার
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র পাঁচ মাস। সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের মেয়াদ দুই মাসেরও কম সময়। এর পরইগঠন করা হবে নির্বাচনকালীন সরকার। ২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিতহওয়ার কথা। ইতিমধ্যে আসছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, আসছে নতুন বছরের প্রথম মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।    

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সরকার এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনকালীন সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন এগিয়ে আনার ব্যাপারে গুঞ্জন শোনা গেলেও সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে কোনো কারণেই নির্বাচন এগিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এগুচ্ছে। আর সেই হিসেবে নির্বাচন কমিশন আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।এই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার সাথে সাথেই বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার ছোট করে একটি নির্বাচনকালীন সরকার বা নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বে যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মন্ত্রিসভা সঙ্কুচিত হবে। মন্ত্রিসভার গঠন, অবয়ব কি রকম হবে, তা নিয়ে দুটি পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের রয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো, শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা হবে একরকম। সেই মন্ত্রিসভায় অনেক হেভিওয়েট মুখ দেখা যেতে পারে। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরীদেরকে এই মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হবে। কারণ সেখানে নির্বাচনের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা একটিবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।  

উল্লেখ্য যে, ২০১৪ নির্বাচনের আগেও শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছিলেন এবং সেই সরকারে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদেরকে সেই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এবারও সেই একই রকম পরিকল্পনা রয়েছে। 

অন্যদিকে এই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো বিভিন্নকর্মসূচি পালন করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখেই শান্তি সমাবেশ, উন্নয়ন শোভা যাত্রাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উত্তাল পরিস্থিতি। এছাড়াও এই নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে বিদেশি কুটনীতিকদের আনাগোনাও বেশ বেড়েছে। বিএনপি একদিকে যেমন নির্বাচন বয়কটসহ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, অন্যদিকে আন্দোলন, সভা সমাবেশের নামে জন সাধারণকে নির্বাচন বিমুখ করে তোলার চেষ্টা করছে। ফলে দেশের রাজনীতিতে একটি সঙ্কট সৃষ্টিহয়েছে।  

তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে জাতীয় সরকারের আদলে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করাহবে। সেই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের বাইরেও সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, যেমন জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিতাদের প্রতিনিধিত্ব রাখা হবে। এছাড়াও সংসদের বাইরেও দুএকটি রাজনৈতিক দলকে ট্যাকনোক্রেট কোটায়মন্ত্রী করা হতে পারে। তবে এই মন্ত্রিসভার অবয়ব হবে ছোট। এই মন্ত্রিসভার কার্যক্রমও একেবারেই ছোট হবে এবং মন্ত্রীরা তাদের রুটিন কাজের বাইরে কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না।

তথ্যসূত্র : বাংলা ইনসাইডার


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর