মুলার–নয়্যারদের জার্মানি

‘ফুটবল সৃষ্টি হয় স্বতঃস্ফূর্ততা, বিলাসিতা, স্বাধীনতা এবং আমাদের সবচেয়ে আদি জিনোমগুলোর একটি, যেমন নাচ থেকে।’

কথাটি কিংবদন্তি ব্রাজিল ফুটবলার সক্রেটিসের। অবশ্য জার্মানদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা হয়তো ভিন্ন কিছু বলবেন। এমন উপমার ধারেকাছে দিয়েও তাঁরা যাবেন না। হয়তো তাঁরা গ্যারি লিনেকারের অতি ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে পড়া সেই লাইনগুলো থেকেই উদ্ধৃতি দেবেন, ‘ফুটবল খুব সহজ একটি খেলা। ৯০ মিনিট ধরে ২২ জন লোক একটি বলের পেছনে ছোটে এবং জার্মানি জেতে।’ জেতাটা জার্মানির জন্য এতটাই দুধভাত!

বিশ্বকাপে জার্মানি সব সময় ফেবারিট। এরপরও অবশ্য কিন্তু থাকে। জেতার জন্য দিনের পর দিন মেশিনের মতো খেলে যাওয়া দলটিই গতবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েছিল। হেরেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষেও।

তবে সেই জার্মানি আর এই জার্মানি এক নয়। বদলে গেছে কোচ এবং কৌশলও। কিংবদন্তি হয়ে বিদায় নেওয়া ইওয়াখিম লুভের জায়গায় এসেছেন হ্যান্সি ফ্লিক। কোন কৌশলে ফ্লিক জার্মান দলকে খেলাতে পারেন, সেটিই এখানে বিশ্লেষণ করে দেখানো হবে।

প্রথমেই বলতে হয় ইয়োশুয়া কিমিখের কথা। বিশ্বকাপে হ্যান্সি ফ্লিকের মূল অস্ত্র হতে পারেন এই বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। তাঁকে হয়তো কিছু ডিফেন্সিভ দায়িত্ব দেওয়া থেকেও মুক্তি দেওয়া হতে পারে যেন ফাইনাল থার্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। গুরুদায়িত্ব থাকবে ম্যানচেস্টার সিটি তারকা ইলকায় গুন্দোয়ানের কাঁধেও। পজিশনাল জ্ঞান, ‘প্রেস’ সামলানোর সামর্থ্য এবং পাসিং রেঞ্জে দক্ষতার কারণে গুন্দোয়ানের ওপর ফ্লিকের বিশেষ নির্ভরতা থাকবে। প্রতিপক্ষের প্রতি–আক্রমণ নষ্ট করার ক্ষেত্রেও দারুণ মুনশিয়ানা দেখাতে পারেন এই ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।

নিচ থেকে রক্ষণচেরা পাসের দক্ষতা তো আছেই। ফ্লিকের দলে অভিজ্ঞ থমাস মুলারের ভূমিকা হতে পারে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। সেন্টার ফরোয়ার্ডের একটু পেছনে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে তাঁকে। ফ্লিক যখন বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে ছিলেন, তখন এভাবেই মুলারকে ব্যবহার করেছিলেন। বিশ্বকাপে একইভাবে ভূমিকা রাখতে দেখা যেতে পারে এই বায়ার্ন তারকাকে। এ ছাড়া আগের বিশ্বকাপগুলোর অভিজ্ঞতা তো আছেই।

Leave a Comment