যে ৯ মন্ত্রীর সম্ভাবনা ফিকে

নবম বারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ঘোষিত নতুন কমিটিতে তেমন কোন চমক নেই।

তবে এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ যে সরকার ও দল আলাদা করতে চায় তার প্রতিফলন পাওয়া গেছে।

সরকারের ৬ মন্ত্রীকে দলের কোন পদে রাখা হয়নি। বাকি যে মন্ত্রীরা দলে পদ পেয়েছেন তাদেরও অচিরেই মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।

মন্ত্রিসভার শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে তাদের না রাখার সম্ভাবনাই বেশি।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর তিন প্রভাবশালী সদস্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্ৃব্দতি দিয়ে বলেছেন, দলের পদে মন্ত্রীদের থাকার দরকার নেই। মূলত সরকার ও দলকে আলাদা করার জন্যই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে রাখতে চাচ্ছেন না তিনি।

এদিকে কাউন্সিলের পরদিনই দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে।

তাঁর এই বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায় দল ও সরকার আলাদা করার প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হতে পারে দলে শীর্ষ এই নেতাদের।

ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভায় রদবদলের খবর নিশ্চিত করার পর এখন চারদিকে উৎসুক দৃষ্টি কী পরিবর্তন আসছে, কারা বাদ পড়ছেন মন্ত্রিসভা থেকে, কারা ঢুকছেন নতুন মন্ত্রিসভায়।

Leave a Comment