ডিএসসিসি কাউন্সিলর নির্বাচন:৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আলোচনায় যারা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডকে মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত হিসেবে গড়তে চান সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তারা এ ওয়ার্ডকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও করতে চান। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ডিএসসিসি ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আগে ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিল। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা এই ওয়ার্ডে রয়েছে বহু পুরাকীর্তি ও আদি-ঐতিহাসিক স্থাপনা।

বাণিজ্যিক এলাকার পাশাপাশি অভিজাত এলাকা হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে এলাকাটির। বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় চাঁদাবাজদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এখানকার ব্যবসায়ীরা। এ ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

এছাড়া মাদক সমস্যা এ এলাকার প্রধান সমস্যা। আবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে ডিএসসিসি ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী এলাকা।

এ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন প্রত্যাশীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ও ৪৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. আরিফ হোসেন ছোটন, সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সাহিদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, বিএনপির সাবেক থানা সেক্রেটারি মো. ফরিদ হোসেন, বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি কাজী মফিজুর রহমান কাওছার।

বর্তমান কাউন্সিলর ও ৪৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি এলাকার মানুষ যেন নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে সে জন্য যা যা করার দরকার তাই করব। এলাকার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব।

সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সাহিদ বলেন, এ ওয়ার্ডের মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং শিক্ষিত বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে তাদের সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাব। সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করব।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, সব ধরনের নাগরিক সেবা পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করব। এই এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখব। এলাকায় পানি ও জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে, এগুলো নিরসনে কাজ করব।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আমি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলে নাগরিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষকে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়নে যা যা করা দরকার তাই করব। এখানকার পরিত্যক্ত ময়লা পরিষ্কার করে সবুজ এলাকা গড়ে তুলব।

বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি কাজী মফিজুর রহমান কাওছার বলেন, দল থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই এখনও কিছু বলতে পারছি না।

সূত্র: যুগান্তর

Leave a Comment