খানসামায় কোয়ারেন্টাইন মানছে না বহিরাগতরা, ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়ছে বহু দেশ। বলতে গেলে বিশ্ব এখন বিচ্ছিন্ন। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রত্যেক দেশেই সন্দেভাজন ব্যক্তিদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। যেখানে ১৪ দিন তাদের আলাদা করে রাখা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোয়ারেন্টাইন কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাহিরে থেকে আসা অনেকে।

গত ২৩ এপ্রিল সোমবার দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৫ নং ভাবকী ইউনিয়নের মাড়ঁগাও প্রাইমারি স্কুলের কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৪ জন। এর মধ্যে তিন জন, রফিকুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন(১৮), ইসমাইল হোসেনের ছেলে নুর আলম(১৯) এবং ডাঙ্গাপাড়ার ছপিউদ্দিন(বিল্টু) এর ছেলে আতিকুল(১৯) এসেছেন গাজীপুর থেকে এবং আরেকজন ছপিউদ্দিনের মেয়ে বিলকিস বেগম(২১) নারায়ণগঞ্জ থেকে রাতের আধারে লুকিয়ে মাড়ঁগাও গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ায় আসেন এবং একদিন বাড়িতে থেকে পরেরদিন থেকে সব জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে থাকেন।

ফলশ্রুতিতে এলাকাবাসীর তৎপরতায় এবং চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় চৌকিদার এসে তাদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়।গতকাল ২৮ তারিখে আবারো তাদের এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেলে ঘটনাস্থলে খোজ নিয়ে জানা যায় আব্দুস সালাম মেম্বার তাদের ছেড়ে দেয়।৫ নং ভাবকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম ছিলেন তাদের দায়িত্বে।ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নামাজ পড়তে গেছি সেই সুযোগে তারা পালিয়ে যায়। এবং আবারো তাদের কোয়ারেন্টাইনে ফিরিয়ে আনার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন; তারা ঢাকায় চলে গেছে, খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নাম অপ্রকাশ করার শর্তে ওই এলাকার একজন বলেন, তারা প্রতিনিয়ত মোরটসাইকেল নিয়ে ঘুরতেছে।

জানা যায় কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের ২ জন ছিল মেম্বারের ভাতিজা আর বাকি ২ জন তাদের তাদের পরিচিত।

Leave a Comment