শ্রীপুরে পরিকল্পিত নির্বাচনী সহিংসতা সৃষ্টির নেপথ্যে যারা

সদরুল আইন : কেন্দ্রের চোখে ‘অজনপ্রিয়’ জনতার চোখে ‘বিতর্কিত’ ও ‘অযোগ্য’ দেখাতে উপজেলা নির্বাচনে সাজানো হয়েছিল নীল নক্সা স্থানীয় এমপি ইকবাল হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে।

একই সাথে এই চক্রটি তাদের ষড়যন্ত্রের গভীর নীলনক্সা অনুসারে প্রশাসনকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে কিনে নিয়ে সবুজ কর্মিদের উপর চালিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা, যা মানব ইতিহাসে শ্রীপুরকে করেছে কলংকিত।

প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক এহেন অাচরন,পক্ষপাতিত্বে হতবাক ও নির্বাক করেছে সাধারন মানুষকে।

সাজানো নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে ব্যর্থ হয়ে ২৪ শে মার্চ রাতে শ্রীপুরের ৮ টি স্পট থেকে সহিংসতা চালিয়ে সেই দোষ চাপানো হয়েছে সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ অনুসারিদের ঘাড়ে।

এমন অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে সাধারন মানুষের মধ্যে শ্রীপুরের সর্বত্রই।

মামলা দিয়ে, গ্রেফতারের নামে যে লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম দিয়েছে প্রশাসন তা মর্মন্তদই নয়, মানবতাকেও করেছে কলংকিত।

পুলিশের দায়ের করা মামলা, পরাজিত শক্তির দায়ের করা মামলায় শত শত সবুজ কর্মি বর্বরতম নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনো ঘরছাড়া।বেছে বেছে এমন নেতা কর্মিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে যারা সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজের রাজনীতির প্রধান সহায়ক শক্তি।

সন্ত্রাসী দমনের নামে পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া অসংখ্য নেতা কর্মিদেরকে থানায় নিয়ে তাদের উপর যে শারিরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা সকল মানুষের বিবেকে করেছে বাকরুদ্ধ, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত অসংখ্য নেতা কর্মিরা এ প্রতিবেদককে জানান, তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকা তো দুরের কথা সে সময় সেই সব ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।এর সপক্ষে তারা তথ্য প্রমানও দেখান।তবুও তারা অাসামি হয়েছেন সাজানো পরিকল্পিত সেই সব মামলায়।

বিশেষ করে যে ঘটনাটি সব মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে সেটি হল পৌর যুবলীগ নেতা অাশরাফুল ইসলাম ওয়াসিমের বাসায় পুলিশী তান্ডব।তার বাসার হামলাটি মানবতাকে পদদলিতই করেনি প্রশাসনের সব বর্বরতা ইতিহাসের সীমানা অতিক্রম করেছে।

গত ২৪ শে মার্চ রাত ১১ টা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে ৩০ জন পুলিশ ওয়াসিমকে গ্রেফতারের নামে তার বাসায় লোমহর্ষক অাক্রমন চালায়।অাগ্নেয় অস্ত্রের পাশাপাশি চেলি কাঠ হাতে এসময় পুলিশকে অভিযান চালাতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।

শ্রীপুর পৌর শহরে তার বাড়ি ও অাশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয় পুলিশ। একদল পুলিশ প্রবেশ করে বাসার মধ্যে।তারা ফ্লাটের সব দরজা জানালা ভেঙ্গে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের অাসবারপত্র কাপড় বাইরে ছুঁড়ে ফেলে তছনছ করে দেয় বাসাটিকে।খাট, অালমারি, টেবিলসহ সব কিছুই তারা ভাঙ্চুর করে লন্ডভন্ড করে দেয়।

এসময় খাটের নিচে তোশকের তলে থাকা ২ লাখ নগদ টাকা, ইন্টারনেট রাউডার,সাউন্ড বক্সসহ অনেক কিছুই হাতিয়ে নেয় পুলিশ।এসব অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগি পরিবারটি।

অভিযান চলাকালে বাসাটিতে অাশরাফুল ইসলাম ওয়াসিমের মা ছাড়া কেউ উপস্থিত ছিলেন না।তিনি সদ্য অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি হলেও তার প্রতি নুন্যতম সম্মান দেখাননি পুলিশ সদস্যরা।

বরং ওয়াসিমকে যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন তারা।

উদ্ভূত ঘটনার পিছনে গভির চক্রান্ত এবং নীল নক্সা ছিল একটি মহলের, এমন অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেক শীর্ষ নেতা।

এসব ঘটনাসমুহের পিছনে ছিল, এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ অজনপ্রিয়,অদক্ষ, অযোগ্য তা প্রমান করে ফলাফল নিজেদের পক্ষে ঘোষণা করানো এবং কেন্দ্রকে তা দেখানো।

কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়ায় উপজেলার ৮ টি পয়েন্টে সহিংসতা ছড়িয়ে সবুজ ভক্তদের নামে গায়েবি মামলা দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ জায়জ করতে অভিযানে নামে পুলিশ, এমন অভিযোগ শ্রীপুরের সর্বত্র।

এসব নাটকীয়কতার পিছনে প্রধান কারন ছিল সবুজ কর্মিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া, এলাকা ছাড়া করে মিল ফ্যাক্টরীর ব্যবসা নিজেদের নামে ধরে রাখা।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও ব্যবসা সংক্রান্ত সেই অাভাসই পাওয়া গেছে এমন অভিযোগ করেছেন বক্তব্য শ্রবণকারি স্রোতারা।

উদ্ভুত ঘটনাসমুহের প্রেক্ষিতে গাজীপুর -৩ অাসনের সাংসদ ও জেলা অা’লীগের নন্দিত সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ,বরেণ্য পৌর মেয়র অানিছুর রহমান, সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড সামসুল অালম প্রধান ও ভাইস চেয়ারম্যান কর্মিবান্ধব নেতা মাহতাব উদ্দিনকে সাথে নিয়ে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অাসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসভবণে।

তারা শ্রীপুরের উদ্ভুত ঘটনাসমুহ তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর পুলিশী অভিযানের নির্মম বর্বরতা থমকে গেলেও অাতংক কাটেনি এই জনপদ থেকে।

সবশেষ তথ্যে জানা গেছে পুলিশী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং তাদের বর্বরতা জাতির সামনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি অাকর্ষণ এবং অপরাধী পুলিশের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত,  শাস্তি ও তাদেরকে এই থানা থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে অচিরেই সংবাদ সম্মেলনে অাসছেন নির্যাতিত পরিবারগুলো এবং শ্রীপুর থানা অা’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমুহ।

Leave a Comment