স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নির্দেশনা

ভালভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছাত্রলীগের নতুন নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটির সাংগঠনিকঅভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি নির্দেশনাদেন।

সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান তাদের কার্যক্রমের প্রথমেই ধাপেই স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দেন।

আজ রবিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে  নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনা গুলো :

. সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখহাসিনা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ব্যতীত অন্য কোন ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ব্যতীত তাদের অধীনস্থ কোন ইউনিটের কমিটি গঠন করবেনা। যে সকলইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের কেন্দ্র/সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমাদানের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোন ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে না।

. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।

. সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেউত্তরোত্তর গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

. দেশের সকল স্তরের নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈশ্বিক উন্নয়ন ইতিহাসের রোল মডেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করবে এবং দেশবিরোধী সকল অপচেষ্টা গুজবপ্রোপাগাণ্ডার সমুচিত জবাব দিবে।

. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচিপরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

. ‘স্মার্ট বাংলাদেশবিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট ক্যাম্পাস‘- রূপদান করতে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগীউপায়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

. স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদজঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টরা যেন নামেবেনামে শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে নাপারে সে লক্ষ্যে উপযুক্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

. শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণকর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।

১০. জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ুপানিমাটিপরিবেশশব্দ দূষণ রোধে ভূমিকা রাখা; অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎপানিগ্যাসতেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া; বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটমোকাবিলায় সাংগঠনিক ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী তরুণ প্রজন্মকেউৎসাহিত করবে।

Leave a Comment