যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ১৫ ও ২১ আগষ্ট উপলক্ষে আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ ও ২১ আগষ্ট উপলক্ষে আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট নারী নেতৃত্ব অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সামাদ আজাদ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতও মেহের আফরোজ চুমকি এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মাজেদুল ইসলাম সেলিম,শরীফ কামরুল আলম হীরা,রফিকুল ইসলাম,সেলিনা আজাদ,জাহানারা আলী,সোলাইমান আলী,সুরাইয়া হাসান ডোনা,সোহেলা পারভিন বেবী,সবিতা দাস,নূন আলমসহ বিপুল সংখ্যক মহিলূ উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট নারী নেতৃত্ব অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন-বাঙ্গালী জাতির জন্য এ মাস শোকের। বাঙালির জীবনে এ মাস অভিশপ্ত। কারণ, এ মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ মহান নেতাকে হারানোর শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকেও হত্যা করে ঘাতকরা।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম আর কোনো হত্যাকাণ্ড রচিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে সেদিন হত্যা করায় বাংলার আকাশে আঁধার নেমেছে, যা এখনো ঘোচেনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশক হলেও এখনো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শূন্যতা অনুভব করে।

শুধু দেশের বাইরে থাকার জন্য তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।

Leave a Comment