প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ নিয়ে জাককানইবি শিক্ষক সাইফুলের কটুক্তি

ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ক্লাসে শিক্ষার্থীদের যা শেখাচ্ছেন তা রীতিমত সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী এবং নীতিবিবর্জিত। তিনি শ্রেণীকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তার এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে দেশদ্রোহিতার শামিল বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা ব্যবসা করে সেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যারা আওয়ামী লীগ করে…। পার্টির নেতা ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এইভাবে শেখ হাসিনারা কত টাকা তোলে, বলতে পারবে? এখন, ব্যবসায়ী কি করবেন? ওই টাকাটা তো দিয়ে দিলাম। এখন এই টাকাটা আমি তুলবো কার কাছ থেকে? সে কিভাবে তুলবেন? সে কি করবেন? উত্তর দাও। এই টাকাটা তো পলিটিক্স পারপাসে তাদের ইন্ড্রাস্টি রাখার জন্য, তাদের পুঁজিকে বাঁচাবার জন্য। এই টাকা কোথা থেকে আসবে? আমাকে উত্তর দাও। সেটা বলতে হবে তোমাদের। মানুষ কিভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সব সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। যে পণ্যের দাম ছিলো ৫টাকা সেটা পরেরদিন বাজারে যেয়ে দেখলে ৮টাকা। এই ৩টাকা মানে ৩ টাকা নয়, তার কাছে তিনশো কোটি টাকা।….’
ওই অডিও রেকর্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সরকারের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করতে শোনা যায়।

জাককানইবি’র ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে অনেকেই জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট বলে মনে করছেন। তারা বলছেন যে, সাইফুল ইসলাম শিক্ষক নামের কলঙ্ক। একজনের শিক্ষকের কাজ এমন হতে পারে না। তিনি জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন এবং ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামনে মিথ্যচার করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বলেও মনে করছেন তারা। তারা বলছেন, ‘তথাকথিত শিক্ষক’ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের জন্ম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে পিএইচডি করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে নিয়ােজিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সােসাইটি কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত জাতীয় কোষগ্রন্থ বাংলাপিডিয়ার সহকারী সম্পাদক হিসেব। বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন পাঁচ বছর। বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলাের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।

Leave a Comment