৫ রাজাকারকে হত্যা করা সেই দুঃসাহসিক নারী মুক্তিযোদ্ধার অসহায় জীবন

সখিনা বেগম দুঃসাহসিক নারী মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে একাই ৫ রাজাকারকে রামদা দিয়ে হত্যা করেন। তাঁর ব্যবহার করা সেই রামদা এখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও স্থানীয় রাজাকাররা তার ভয়ে অনেক দিন পালিয়ে ছিল।

১৬ই ডিসেম্বরের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন- ইচ্ছে করে একাত্তরের রামদাটি আবার হাতে নিই।

সেদিন যারা ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে, সেই রাজাকাররা এখন সদর্পে ঘুরে বেড়ায়। এ কথা মনে হলে মাথা গরম হয়ে যায়।

বর্তমানে তিনি অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছেন।অভাব অনটনে দিনযাপন করেও সখিনা বেগম তাঁর আদর্শে অবিচল। তিনি চাইলে গামছা সিদ্দিকী, মরিনহোর বড় ভাই কামালহোর মত স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে বিক্রি হতে পারতেন! কিন্তু সেটা না করে তিনি আবার রামদা হাতে নিতে চেয়েছেন, যখন অসময়ে সরব সুসময়ে নিরব আ স ম রব, কামালহোরা রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে জোট গঠন করে!

সখিনা বেগম বলেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার বদলা নেওয়ার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। দেশে যতদিন রাজাকার থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধ চলবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের রামদাটি এখন আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষণ না করে যারা ভিক্ষুকের মত মেরি মি আফ্রিদি লিখে কৌন চাটেগা আফ্রিদিকা ডান্ডু প্রতিযোগিতায় নাম লিখাতে চায় তাদেরকে সংরক্ষণ করার জোর দাবি জানাই!

বিনম্র শ্রদ্ধা রইল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম….

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Leave a Comment