ধীরে ধীরে সংগঠনটি সার্কাসে পরিণত হচ্ছে:অভিমানে ছাত্রলীগ ছাড়ছেন রকি

অভিমানে ছাত্রলীগ ছাড়ছেন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ। বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

রকি কুমার ঘোষ এর স্ট্যাটাস টি হুবহু তুলে ধরা হল :

রাজনীতি মানে অনেকেই ভাবে রাজার নীতি। আসলে তা কিন্তু নয়। আর এই প্রবিত্র রাজনীতিই আমরা দিন দিন কুলষিত করছি,রাজনীতি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি ও ছাত্রলীগ করছি । রাজনীতি করতে এসে অনেক দূর্র সময় ও সুসময়ে রাজনীতি পার করে এসেছি ও এখনো করে যাচ্ছি। কিন্ত এখন যে ভাবে রাজনীতির পরিবেশ অতিবাহিত হচ্ছে তাতে রাজনীতি করাই ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি এমনো সময় পাড় করেছি যখন আমি ২০০৪ সালে এইচ,এস,সি পড়ি রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে অধ্যায়নরত্র ছিলাম কিন্ত জয় বাংলা বলার লোক ছিলো না মিছিল করার লোক ছিলো না তৎকালিন ছাত্র সংগঠনের অত্যাচারে। কিন্ত আজ সেই জায়গা থেকে আজ ওবদি তিল তিল করে গড়ে উঠা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তথা রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সু-সংগঠিত হয়ে একটা ছাত্রলীগের আতর ঘরে অতিবাহিত হয়েছে। ছাত্রলীগ করতে এসে কোন খোঁজ খবর রাখি নি নিজের পরিবার,পাশের বাড়ির মানুষের, কোন ছোট বেলার বন্ধু ও সহ পাঠীদের।

তাতে অনেকের মনের মধ্য আমার প্রতি রাগ জন্মিয়েছে ও তা দিনে দিনে আস্তে আস্তে তা ক্ষোভে পরিনিত হয়েছে। এই রাগ জন্মান টাই স্বাভাবিক কারণ জীবনে অর্ধেক টায় রাজনীতির পিছনে ব্যয় করেছি। রাজনীতি করতে এসে অনেকের সাথে ভালো সম্পর্কোও পরিণিত হয়েছে অত্যান্ত খারাপ সম্পর্কে। আসলে হওয়াটাও স্বাভাবিক, রাজনীতি করতে এসে অনেক বড় বড় মানুষের সাথে তৈরি হয়েছে ভালো সম্পর্কো আবার তার সাথে সাথে কিছু খারাপ সম্পর্কেও। আমরা বড় ভাইদের কাছে গল্প শুনেছি ১৯৯৬ সালে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের অবস্থা। তৎকালীন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হুদা রানা ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা শাহীন শাহ্ আলী শোভা ভায়ের কথা।

তারা অনেক কষ্টে রাজশাহী কলেজের মত বৃহৎ জায়গাতেও কিন্ত ছাত্রলীগের মিছিল করেছে মাত্র ১৫-১৬ নিয়ে। সে জায়গা থেকে আজ কিন্ত ছাত্রলীগের শত শত কর্মী তৈরি হয়েছে। ভাইদের মত আরো অনেক সফল ছাত্র নেতারাই কিন্ত আজ তিলে তিলে এই ছাত্র সংগঠনের পরিবেশে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। আজ কোন প্রোগ্রাম হলে আমাদের কর্মীর কোন অভাব নেই কর্মীদের ডাকা মাত্রই শত শত কর্মী এসে আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়ে যাই। কিন্ত আমার মতে ভাইদের সময় যে ১৫-১৬ ছাত্রলীগ কর্মী ছিলো তারা ছিলো ছাত্রলীগের এক একটা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বুলেট। কিন্ত এখন দেখছি তা ধীরে ধীরে সংগঠনটি ধীরে ধীরে সার্কাসে পরিণিত হচ্ছে। তাই নিজেদের সন্মান থাকতে থাকতে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াই ভালো হবে মনে হয়। কারণ আমাদের চোখের সামনেই কিন্ত ৫ জানুয়ারীর মত ও দিন আমাদের নিজ চোখে দেখতে হয়েছে।

তখন কিন্ত প্রকৃত ছাত্রলীগ ভাইদের আমরা পাশে পেয়েছিলাম। আমার মনে আছে আমি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাহামুদ হাসান রাজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ও কিন্ত অনেককেই ছাত্রলীগের পোষ্ট নিতেও ভয় পাইছে। অনেকেই ভয়ে শহরের বাইরেও পালিয়ে গিয়েছিলো আমরা দুই জনেই কিন্ত তাদের আবার ও সাহস যোগীয়ে ভালোবেসে আবার ও মহানগর ছাত্রলীগ করাতে সক্ষম করি। আজ এই রাজনীতি করতে এসেই কিন্ত নিজের প্রতি খেয়াল না রেখে নিজের পরিবার, নিজের পড়ালেখার প্রতিও কোন সময় দিতে পারি নি। কিন্ত আপনাদের আর্শিবাদে যত টুকুই করতে পারছি তা মন দিয়ে করছি তাতে ফল ও কিন্ত ভালো হয়েছে।

সময় এসেছে হটে দাঁড়ানোর, আমার সাধারণ সম্পাদক একটি কথা বলে সবার সামনে হাসতে হাসতে সেটা আসলেই বাস্তব মুখী সেটা হচ্ছে সারা দিন খেটে যাও তাতেও দুই রুটি না খেটেও দুই রুটি কথাটি আসলেই বাস্তব। জীবনে চলার পথে অনেক কেই কষ্ট দিয়ে কথা বলেছি অনেকেই সেই কষ্টে আর আসেও না। এখন বুঝছি আপনারই হচ্ছে প্রকৃত ছাত্রলীগের আসল কর্মী। জীবনে ইশ্বর যদি কোন দিন ভালো সময় নিয়ে আসে তা আমি আমার জায়গা থেকে নিজের রক্ত দিয়ে হলেও তা শোধ করার চেষ্টা করবো আপনাদের। যারা প্রকৃত ছাত্রলীগ করে তারা কিন্ত রাগ করে থাকলেও তারা কিন্ত মৃত্যু আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকা অবদি অন্য কোন দল করবে না বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ছাড়া, তাই একটি কথাই বলতে আজ মনে চাই নেতাদের দালালি করে বড় হয়ে লাভ কি বরং একজন সৎ কর্মী হয়ে বেঁচে থাকা অনেক সন্মানের! কথা গুলো অনেক দিন হলোই ভাবছি লিখবো কিন্ত লিখা হচ্ছে না আমার, সারা বাংলাদেশের যে প্রেক্ষাপট তাতে লিখতে বাদ্ধ হলাম। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত কেউ কিছু মনে নিয়েন না দয়া করে!!

Leave a Comment