২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ৩৬৮ জনের মৃত্যু

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইতালিতে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত দেশটির সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল লোম্বারদিয়া।

১৫ মার্চ, রবিবার লোম্বারদিয়া অঞ্চলে একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের। সব মিলিয়ে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। যা অন্য যেকোনো দিনের মৃত্যু সংখ্যার থেকে বেশি। এনিয়ে ইতালিতে এই ভাইরাসের প্রকোপে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৯ জন।

রবিবার দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯০ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। এর মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত দুই হাজার ৩২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এ ভাইরাস প্রতিরোধে গত সোমবার (৯ মার্চ) থেকে পুরো দেশকে রেডজোনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করার পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ছয় কোটি মানুষ। দেশটির ব্যস্ততম শহরগুলো পরিণত হয়েছে জনশূন্য ভূতুড়ে নগরীতে। সারা দেশে ফার্মেসি এবং এলিমেন্টারি শপ (খাবার ও জরুরি পণ্যের দোকান) ছাড়া সব কিছুই বন্ধ রয়েছে।

ইতালির সব শহরের প্রবেশদ্বারে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এক শহর থেকে অন্য শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। শহরে মাইকিং করে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এরপরও যারা অকারণে বাইরে বেরোচ্ছেন তাদের জরিমানা গুণতে হচ্ছে, পড়তে হচ্ছে শাস্তির মুখেও।

রেড জোনের আইন কেউ অমান্য করলে ২০৬ ইউরো জরিমানার বিধান করা হয়েছে। অন্যথায় ৩ মাস থেকে ২১ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। তবে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সফরের সুযোগ রয়েছে।

ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। এরই মধ্যে অল্প কিছু লোক দেশে ফিরলেও বেশিরভাগই এখনো ইতালির বিভিন্ন শহরে গৃহবন্দি জীবনযাপন করছেন।

ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই মুহূর্তে ইতালি সরকারের আইন মানতে হবে। নিজ বাসায় অবস্থান করে দেশকে সুরক্ষা করতে হবে। আপনার সচেতনতা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নিজে এবং অন্যের সুরক্ষায় সর্তকতা অবলম্বন করুন।

ইতালিতে বসবাসরতদের বাংলাদেশ ভ্রমণ থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Comment