মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ ঢাকা আলিয়ার আবাসিক শিক্ষার্থীরা

আবু নোমান রুমি, ঢাকা।।

রাজধানীর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায়(ঢাকা আলিয়া) মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত। এতে করে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস এবং হলের ড্রেন ও আশেপাশে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম এবং ড্রেনগুলো গুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পানি জমে থাকায় মশার বংশবিস্তার বেড়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় হলে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। দিনের বেলাতে রুমে বসে লেখাপড়া করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে মশার যন্ত্রণায়। সবসময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কয়েলের ধোঁয়া শ্বাসনালি ও ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ায় সবসময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। সিটি করপোরেশন থেকে মাসে দুই একবার করে হলে নামমাত্র ফগার মেশিনের ধোঁয়া দিয়ে মশা নিধন অভিযান লক্ষ করা তা মূলত অকার্যকর। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, ২টি আবাসিক হলের আশ পাশে, একাডেমিক ভবনগুলোর ধারে, ক্যাম্পাস এবং কর্মচারী কোয়ার্টারের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলো যেন মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে তাছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ঝোঁপ-ঝাড়গুলোও দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না ফলে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।মশার উপদ্রবের কারণে সন্ধ্যা নেমে আসলেই আবাসিক হল গুলোতে থাকা দায় শিক্ষার্থীদের।এমনকি হলের মসজিদে নামাজ পড়তেও কষ্ট হয় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে হোসেন আল্লামা কাশগরী হলের কামিলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহেদ হোসাইন বলেন, মশার উপদ্রবে পড়ালেখার টেবিলে বসা যায় না। হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে হলের পেছনের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করেছে। রাতে মশার জন্য রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। দিনের বেলাও মশারি টাঙিয়ে থাকার মত অবস্থা ।

 

শহীদ ইব্রাহিম হলের অনার্স চতুর্থ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মো.মাসুম বলেন, মশার উপদ্রব ইদানিং খুব বেড়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। একটু সন্ধ্যা হলেই কোনো জায়গায় এক মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।

আলিম পরীক্ষার্থী আবির হাসান বলেন,আর তিন চারদিন পর পরীক্ষা অথচ মশার যন্ত্রণায় ঠিকমতো পড়াশোনা করতে কষ্ট হচ্ছে এমনকি রুমে থাকতেই কষ্ট হয়ে পড়ছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সমস্যা সমাধানে পুরো ক্যাম্পাসে মশা নিধক স্প্রে ব্যবহার করা হোক।

 

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)আবদুর রশীদ বলেন,মশার উপদ্রবের বিষয় সম্পর্কে জেনেছি,সমাধানের চেষ্টাও চলছে, মশক নিধন অধিদপ্তর বরাবর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।শিক্ষার্থীরাও সবাই নিজ নিজ থেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করলে মশার প্রজনন রোধ করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment