জমি বেদখলে বাঁধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান যুবলীগ নেতা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ করেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ।
জানা গেছে,কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাধীন জালুয়াপাড়া মৌজার সি এস ৩২ নং খতিয়ানের রেকর্ডকৃত ৯৪ দাগের ৩৭ শতাংশ ভূমির মালিক ছিলেন মামুদ শেখ।হিস্যা পান আমুদ হোসেন,আবুল হোসেন ও আব্বাস শেখ।তাদের নামে সিএস রেকর্ড প্রস্তুত হয়।১৯৫০ সালে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হলে ভূমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ করা হলে এসএ রেকর্ড প্রস্তুতকালে সিএস রেকর্ডীয় মালিক এবং সিএস রেকর্ডের মালিকের ওয়ারিশগন এর নাম আমুদ হোসেন,আবুল হোসেন,আব্বাস শেখ তাহের উদ্দীন ও বাছির উদ্দীনের নামে ২০ নং খতিয়ান এসএ প্রস্তুত হয়।
কিন্তু আরএস রেকর্ড প্রস্তুতকালে সিএস ও এসএ ৯৪ দাগ হইতে আরএস ৮০২ দাগের সৃষ্টি হইয়া ভ্রমাত্মকভাবে স্বত্ব ও দখলহীন ব্যক্তিগনের নামে আর এস প্রস্তুত হয়।
সেই সুযোগে জমসেদ উদ্দীন ভূইয়া, জাকির হোসেন ভূইয়া,কামরুল হোসেন ভূইয়া,মিন্টু মিয়া ও এনামুল উক্ত জমি বেদখলের চেষ্টা শুরু করে।ভূমি দখলের জন্য তারা বিভিন্ন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে।তারা এ নিয়ে বারবার জমির মালিকপক্ষকে হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ। এতে কাজ না হওয়ায় উক্ত জমিতে খননকৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে বাঁধা দেয় তারা।একাধিকবার পুকুরের বাধ কেটে মাছ ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় উক্ত ভূমিতে তারা মাটি দিয়ে ভরাট করার মাধ্যমে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালায়।এতে মালিকপক্ষ বাঁধা দিতে আসলে তাদের উপর ছড়াও হয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে জাকির হোসেন ভূইয়া বাদী হয়ে চাঁদাবাজি এবং হামলার মিথ্যা মামলা দায়ের করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায়।ফলে উক্ত মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে চৌদ্দশত ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ভূইয়াকে।এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, “আসলে কী বলব। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জমি বেদখল ঠেকাতে গেলে তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে অভিযোগ করে। দল ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ত্যাগীর কর্মীদের এমন দশা খুব মানসিকভাবে আঘাত করে আমাকে”।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, জমসেদ উদ্দীন ভূইয়া, জাকির হোসেন ভূইয়া, কামরুল হোসেন ভূইয়া, মিন্টু মিয়া এবং এনামুল মিয়া গ্রামঃনান্দলা,থানাঃ কিশোরগঞ্জ, জেলাঃ কিশোরগঞ্জ মিলে পার্শ্ববর্তী গ্রামে জোরপূর্বক আরও কয়েকটি জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে এমনকি এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ কোর্টে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা আছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইসচার্জের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ্য আরএস সংশোধনের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন রবিন।মামলা নং ৬৪০/২০২১।

Leave a Comment