পীরের এক মুরিদকে আরেক মুরিদের ধর্ষণ

সদরুল আইন : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ সন্তানের এক জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর ওই নারীকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।

গত ২১ মার্চ রাতে উপজেলার সখিপুর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

মামলার পর এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কতিপয় লোক ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার এনায়েতপুরী পীরের ভক্ত।

আরও পড়ুন : গাজীপুরে ভাগ্নি কে ধর্ষণ করল মামা

সেই সুবাদে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় সেলিম মাল কান্দি গ্রামের জমির মালের (৪৫)।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে জমির মাল ওই নারীর ঘরে মজলিস বসিয়ে অন্যান্য নারী ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। অনেক সময় পীরের সম্পর্কে নানা আলাপ আলোচনাও করতেন।

কিন্তু গত ২১ মার্চ ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়ি না থাকায় কথা আছে বলে ওই নারীকে ডেকে নিযে যান জমির মাল। পরে গভীর রাত পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর এক সময় জমির মাল তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনার পর ওই নারীকে তালাক দেয় তার স্বামী। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ধর্ষক ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা জানাজানির পর আমার স্বামীকে মারধরের হুমকিও দিয়েছে সে। তবে এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি। তার পরেও আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে। এখন ছোট ছোট পাঁচ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমি জমির মালের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জমির মালের ভাই জামাল মাল বলেন, ‘আমার ভাই ধর্ষণ করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আইনে বুঝব। এ বিষয়ে আর কিছুই বলার নাই।’

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, ‘ধর্ষক ও ভিকটিম একই পীরের মুরিদ। আলোচনার কথা বলে কৌশলে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর ভিকটিমকে তার স্বামী তালাক দিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী থানায় এসে এজাহার করে।’

তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Leave a Comment