এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় তামিম

২৮ ঘণ্টার অবসর কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেও দেড় মাসের ছুটিতে রয়েছেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। এই সময়টাতে পিঠের ইনজুরির চিকিৎসা করানোর কথা রয়েছে তার।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই লন্ডনে পিঠের ইনজুরির চিকিৎসা করাবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

তামিমের চিকিৎসা হতে পারে তিন পদ্ধতিতে। হয় বাঁহাতি এই তারকাকে ইনজেকশন নিয়ে সারাতে হবে ব্যথা নতুবা তাকে অংশ নিতে হবে পুনর্বাসন কার্যক্রমে।

যদি এই দুই উপায়ে না হয় তবে পিঠের ইনজুরি থেকে মুক্তি পেতে তাকে করাতে হবে অস্ত্রোপচার। আর সেটি হলে অন্তত চার মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে তামিমকে। এতে করে শঙ্কা জেগেছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে তামিমের খেলা নিয়ে।

বোর্ডের সেই সূত্র বলেন, ‘তামিমের যেই অবস্থা, তাতে একদম শেষ পর্যায়ের চিকিৎসা হিসেবে ওর অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। আগে দেখা যাক ওখানকার (লন্ডনের) চিকিৎসকদের রিপোর্টে কি আসে। ইনজেকশন বা রিহ্যাবে যদি হয়ে যায় তাহলে তো হলোই। না হলে লাস্ট অপশন অস্ত্রোপচার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ডের চিকিৎসকরা ধারণা করছেন অস্ত্রোপচার করা হলে পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরতে ওর (তামিম) অন্তত চার মাস লাগবে। যদি অস্ত্রোপচার লাগে আরকি। বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিও ব্যাকআপ হিসেবে নিয়ে রাখছি। দেখা যাক। রিপোর্ট আসুক। আমাদের মেডিক্যাল ইউনিট দেখুক। এরপর সিদ্ধান্ত।’

 

লম্বা সময় ধরেই তামিম ভুগছেন পিঠের ব্যথায়। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরও আসল সমস্যা বের করতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। হুট করেই ব্যথা চলে যায়, হুট করেই আবার ফিরে আসে। এমনটাই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

গত মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে ব্যথা অনুভব করলেও পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার পিঠে কোনো সমস্যাই খুঁজে পায়নি। সমস্যা খুঁজে না পাওয়ায় আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজটিতে খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

তবে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজের আগ মুহূর্তে ফের পিঠের চোট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যে কারণে সিরিজের একমাত্র টেস্টটিতে খেলা হয়নি তার। ব্যথা নিয়ে ওয়ানডে সিরিজে খেললেও প্রথম ওয়ানডের পর হুট করেই ঘোষণা দেন অবসরের।

অবসর ভেঙে ফেরেন তার পরের দিনই। এরপর আর মাঠে ফেরেননি তামিম। রয়েছেন দেড় মাসের ছুটিতে। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে মাঠে ফেরার কথা রয়েছে ওয়ানডে দলপতির।

Leave a Comment