গেল অর্থ বছরের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের। ২০২৩–২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪৩৭ কোটি এবং উন্নয়ন ২৬২ কোটি টাকা।
২০২২–২৩ অর্থ বছরে বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৬৬২ কোটি টাকা। ২০২১–২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫৬ কোটি টাকা।
পরিচালন বাবদ ২০২২–২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে খরচ হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২২–২৩ অর্থ বছরের মূল বাজেটে পরিচালন বরাদ্দ ছিল ৩৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২৪৭ কোটি টাকা।আর ২০২১–২২ অর্থ পরিচালন ব্যয় ছিল ৩৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয় ব্যয় ছিল ২০৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।ইতিহাসের বৃহত্তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরবিকলে ৩টা ৫মিনিটে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প–সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ওপ্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণ সহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ভাষা শহিদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে। দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার/সম্বর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।