৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বর্জন করেছিল বিএনপি।এরপর থেকে বলে আসছিল একাদশ সংসদে অংশ নেবে না দলটি। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন দলটির নেতারা। ওই সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলে আসছিলেন, একাদশ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির ছয় জনপ্রতিনিধির কেউ-ই শপথ নেবেন না। এমনকি তাদের কেউ সংসদের আশপাশে গেলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউটার্ন নেয় এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতার রাজনীতি বাইরে থাকা এ দলটি।
বিএনপি থেকে নির্বাচিত নেতাদের এমপি হিসেবে বিএনপির সংসদে যোগদান নিয়ে যা বললেন ভিপি নুরর সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি ওই সমালোচনা করেন।
স্ট্যাটাসে ভিপি নুর লিখেন, ”এতো বড় একটা দল চাপের মুখে আপোস করে সংসদে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কি নিজেদের অদূরদর্শী রাজনীতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা আর অসহায়ত্বকেই তুলে ধরেনি? চাপ সহ্য করে যদি রাজনীতির মাঠে টিকতে না পারেন, নেতার মুক্তির জন্য আপোষ করে যদি সংসদে যেতে হয়! আপনারা কিভাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আপোষহীন লড়াই-সংগ্রাম করবেন? জনগণ কি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে আপনাদের উপর আস্থা রাখবে? ক্ষমতায় থাকা গতানুগতিক রাজনৈতিক দলসমূহ স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, সাম্য-মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারেনি। আগামী ৫০ বছরেও পারবে না, যদি কোন তৃতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তির আর্বিভাব না ঘটে। তবে আশার বাণী হচ্ছে, এদেশের ছাত্র- যুবক, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে সকল অসাধ্যই অর্জন করা সম্ভব। সুতরাং ছাত্র-যুবক, তরুণদেরই দেশ গঠনে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।”
