আজ বৃহস্পতিবার। ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ৬:৪৮

স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২৬

স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২৬
নিউজ টি শেয়ার করুন..

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন ,সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।

রবির কিরণে হাসি ছড়িয়ে অপ্রাপ্তি বেদনা ভুলে আজ নব আনন্দে জাগবে গোটা জাতি। বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় নতুন বাংলাবর্ষ ১৪২৬ বরণ করবে সব বয়সের মানুষ। নতুন বছরের সূচনা দিনে নতুন স্বপ্ন-প্রত্যাশায় উৎসব আর উচ্ছ্বাসে ভরে যাবে বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর।

বছরের এ প্রথম দিনে গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকবে কোটি মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা। ঢাকায় রমনার বটমূল থেকে উৎসবের শুরু হয়ে শাহবাগে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পাড়ায়-মহল্লায়, বাসা-বাড়িতে, পার্কে-রাস্তায় সবখানে শোনা যাবে একই সুর; সবার গলায় একই আহবান- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।

শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে নতুন দিনের প্রত্যয়ে বাঙালি নতুন করে জেগে উঠবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। খোলা হবে নুতন হিসাবের হালখাতা। পান্তা-ইলিশের সাথে মুড়ি মুড়কি, মণ্ডা মিঠাইয়ের সাথে সাথে নাচে-গানে, ঢাক-ঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করবে নতুন বছরকে। গতকাল বছরের শেষ দিনে ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতি বিদায় জানিয়েছে ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে।

আমাদের দেশের মূল স্তম্ভ কৃষক সমাজ আজও বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। ফসল রোপন ও ঘরে তোলার পালাও চলে সেই পঞ্জিকা অনুসারে। ফসলি সাল গণনার জন্য এক সময় যে বাংলা সনের উৎপত্তি তা সুদীর্ঘকাল ধরে শহর-বন্দর, গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এদেশের মানুষের হৃদয়ে নিজস্ব সংস্কৃতি হিসেবে শক্ত আসন গেড়ে বসেছে।

বাংলা নববর্ষে ব্যবসায়ীদের ‘হালখাতা’ রীতি এখনও এদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির আমেজ নিয়ে টিকে রয়েছে। খেরোখাতায় পুরাতন হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরে নতুন করে সবকিছু শুরু করার জন্য এদিন ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্টদের দাওয়াত দিয়ে এখনও মিষ্টিমুখ করান।

নববর্ষ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলো এ উপলক্ষে প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠান। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে ক্রোড়পত্র ও বিশেষ নিবন্ধ। নির্বিঘ্নে বর্ষবরণ উৎসব পালনে দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মুখোশ ও ভুভুজেলা বাঁশি।

মূলত এই আয়োজনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় রাজধানীর বৈশাখ বরণের কার্যক্রম। আর তাই এ উৎসবকে সফল করতে গত এক মাস নিরলস পরিশ্রম করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী। শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে পাখি, বাঘ, বক, ঘোড়া, উল্টা কলসি, পেঁচা, কাঠঠোকরাসহ বিভিন্ন প্রতিকৃতির শিল্পকর্ম।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর