আজ বৃহস্পতিবার। ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ১০:৫৫

জাবিতে ইবি হ্যান্ডবল টিমের ওপর হামলা প্রতিবাদে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক আবরোধ

জাবিতে ইবি হ্যান্ডবল টিমের ওপর হামলা প্রতিবাদে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক আবরোধ
নিউজ টি শেয়ার করুন..

ইবি সংবাদদাতা :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বাস্কেটবল টিমের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খেলোয়াড়, শিক্ষার্থী ও সন্ত্রাসীরা। এর প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৫টায় থেকে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক আবরোধ করেছে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

হামলার ঘটনায় ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহলেসহ ৯জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে হাত ও কোমর ভেঙ্গে রাব্বি ও ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞা হারিয়েছেন এক খেলোয়াড়। ্আহতরা হলেন আশিক, ইমন, শিমুল, রাব্বি, সাকিব, রিদয়, সালমান, জাকারিয়া, দিপন, শোভন, সালফি, সৌরভ। আহতদের সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন আলো ও আবুহেনা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক আবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়কে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া ও জাবিকে সকল প্রকার খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি করে।

পরে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের অনুরোধে ও যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪টায় জাবির মাঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শুরু থেকেই আক্রমাত্মক ছিলো জাবি দলের খেলোয়াড় ও দর্শকরা। খেলায় ইবি তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেলে উপর্যপুরি ফাউল করতে থাকে জাবির খেলোয়াড়রা। একপর্যায়ে ইবির খেলোয়াড়রা ফাউল আবেদন করলে তাদের ওপর চড়াও হয় জাবি খেলোয়াড়রা। একই সময় মাঠে ঢুকে পড়ে জাবির দর্শকরা। তারা খেলোয়াড়দের উপর হামলা শুরু করে। এসময় তারা রড,লাঠি সোডা দিয়ে আঘাত করে খেলোয়াড়দের। এসসময় ইবির শিক্ষক কোচ ও কর্মকর্তারা তাদের ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে সন্ত্রসীরা।

হামলার শিকার ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, খেলায় নূন্যতম নিরাপত্তা ছিল না। তারা আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করলে আমরা যখন থামাতে যায় তারা আমাদের ওপরও হামলা করে। শিক্ষক পরিচয় দিলেও তারা হামলা থামায় নি।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী। আমার কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ আছে। এ ফুটেজ থেকে চিহ্নিত করে আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। ইউজিসি ও শিক্ষমন্ত্রণালয়ের নিকট বিচার দাবি করছি। সেই সঙ্গে জাবিকে সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে কালো তালিকায় রাখার দাবি জানাচ্ছি।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর