প্রতি বছর কমলাপুর স্টেশনে ঈদযাত্রার টিকিটের জন্য ভিড় করেন লাখো মানুষ। এবার দুর্ভোগ কমাতে অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে ‘রেল সেবা’ অ্যাপের মাধ্যমে।যাত্রীদের অভিযোগ রেলসেবা অ্যাপস ব্যবহার করে অগ্রিম একটি টিকিটও কেনা যাচ্ছে না।
ই-টিকেট সংগ্রহ করতে না পেরে সকালে অনেকেই ছুটছেন স্টেশনের দিকে। কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারে আগের রাত থেকে অপেক্ষমাণ টিকেটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন তারা।এক যাত্রী বলেন,নামেই শুধু ই-টিকেট কাজে নেই ।
অ্যাপসের মাধ্যমে রেলের কাঙ্ক্ষিত টিকিটসেবা দিতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করে রেলপথমন্ত্রী বলেন, অ্যাপসে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসের সঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে চুক্তি। এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর বাড়ানো হবে না। সিএনএসের ব্যর্থতার দায় আমরা এড়াতে পারি না। তাই অবশ্যই সিএনএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ দিবসগুলোতে পরিবহন সক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী থাকে। তাই বিশেষ দিবস নজর দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঈদে যাতে যাত্রীদের কোনো বিড়ম্বনা না হয়, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঈদের স্পেশাল কাউন্টার ৯টি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৬টি পুরুষ ও ৩টি নারী কাউন্টার। যেহেতু অ্যাপসে সমস্যা হচ্ছে, তাই আসন থাকা সাপেক্ষে অবশিষ্ট টিকিট ২৭ মে বিক্রি করা হবে।
২১ মে অনলাইনে ১৪ হাজার ৭৫৪টি, অ্যাপসের মাধ্যমে ১ হাজার ৫৫৭ ও মোবাইলে ৫ হাজার ২৮০টি টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি কালোবাজারি থাকে, আপনারা হাতেনাতে ধরে দেন।